ন্যাভিগেশন মেনু

মোংলার 'স্বপ্নপুরী'তে ঠাই হচ্ছে ৫০ আশ্রয়হীনের


পেশায় দিনমজুর, থাকেন অন্যের বারান্দায় কিংবা অন্যের জমিতে। এমন দরিদ্র পরিবার এখন পেতে যাচ্ছেন পাকা ঘর ও জমি। ঘরে থাকছে বিদ্যুৎ সংযোগও। ভূমি ও গৃহহীন দরিদ্র পরিবারগুলো এমন ঘর পেয়ে যেনো তাদের আনন্দের শেষ নেই। তেমনি খুশির পাশাপাশি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে হতদরিদ্রদের এ ঘর বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। ইতোমধ্যে উপকারভোগীদের প্রত্যেকের নামে দুই শতক ভূমিসহ ওইসব ঘরের দলিল ও নামপত্তন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনের পর স্থানীয়ভাবে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করা হবে উপকারভোগী হাতে।

মোংলার চাঁদপাই ইউনিয়নের মাকড়ঢোন এলাকায় মোংলা-ঘাষিয়াখালী চ্যানেলের পাড়ের খাস জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে ৫০টি পাকা ঘর। সামনে বারান্দা, দুইটি রুম, একটি রান্না ও বাথরুমসম্বলিত ঘরসহ দুই শতক করে জমি দেওয়া হবে প্রত্যেক পরিবারকে। সেই সাথে নতুন ঘরে থাকছে মিটারসহ বৈদ্যুতিক সংযোগ। সেখানকার বাসিন্দাদের সুপেয় পানির চাহিদা মিটাতে খনন করা হচ্ছে একটি মিঠাপানির পুকুরও। রয়েছে সংযোগ সড়ক।

বনবিভাগের সহায়তায় ওই প্রকল্প এলাকাজুড়ে সবুজ বনায়নের আওতায় আনারও উদ্যোগ রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের। মাকড়ঢোনের এ প্রকল্প এলাকা এখন যেন দৃষ্টিনন্দন স্বপ্নের নীড়। জমিসহ ৫০টি ঘরের মালিক হতে যাচ্ছেন স্থানীয় ভিক্ষুক, সবজি বিক্রেতা ও প্রতিবন্ধী পরিবার।

মোংলা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে বলেন, অনেকটা চ্যালেঞ্জিংয়ের মধ্যদিয়েই এ ঘরগুলো নিমার্ণ করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জিং বলতে এই এলাকায় এবং কাছাকাছি কোথাও ইটভাটা নেই। তাই দূর থেকে ইট, বালু আনতে খরচ পড়ে যায় বেশি। প্রতিটি ঘরে খরচ হচ্ছে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

ইতোমধ্যেই বরাদ্দের চেয়েও বেশি টাকা খরচ হয়েছে এ গৃহ নিমার্ণে। ৫০টি ঘর নিমার্ণ কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে।

শ্রাবন/সিবি/এডিবি