যাত্রাবাড়ী থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল পর্যন্ত ঢাকা-চট্রগ্রাম ৮ লেনের মহাসড়কে যানজট নিরসনে দু’টি ইউটার্ণ নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে।
গত মার্চের প্রথম দিকে নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগ সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক ও সানাড়পাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে একটি এবং মাতুয়াইল এলাকায় অপর একটি ইউটার্ণ নির্মাণের কাজ শুরু করে।
আগামী তিন মাসের মধ্যে এ নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এতে করে সড়কটিতে যানজট কমে আসবে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত। জানা গেছে, ইউটার্ণ দুটি নির্মাণে ব্যয় হবে আনুমানিক ৬ কোটি টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কটির মৌচাক থেকে সানাড়পাড়ের মধ্যবর্তী প্রায় ৪০০ মিটার এলাকায় সড়কটির ঢাকামুখী এক লেন ও চট্টগ্রামমুখী তিন লেন নতুন করে মাটি ভরাট করে প্রসস্থ করা হচ্ছে। ন্যাশানাল ডেভলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানী (এনডিই) নামক একটি প্রতিষ্ঠান এ কাজটি করছে।
মাতুয়াইল এলাকায়ও একইভাবে কাজ চলছে। বর্তমানে সড়কটির সাইনবোর্ড, শিমরাইল, সানাড়পাড়, মাতুয়াইল ও রায়েরবাগ এলাকায় ফাঁকা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সড়ক উপ-বিভাগ এর প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইউটার্ণ দু’টি নির্মাণ শেষে যাত্রাবাড়ীর উড়াল সেতুর পূর্ব প্রান্ত হতে কাঁচপুর সেতু পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়কে বর্তমানের ফাঁকা জায়গাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, সাইনবোর্ডে নেমে হাজার হাজার মানুষ রাস্তা পারাপার হয়। এটা বন্ধ করা হবে। সাইনবোর্ডে একটি পথচারী সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। এটি দিয়ে পথচারীরা নিরাপদে পারাপার হতে পারবেন। ইউটার্ণ দুটি চালু হলে সড়কে যানচলাচলে বিশেষ করে উল্টোপথে এসে গাড়ি ঘুরানো বন্ধ হবে। এতে সড়কে যানজট নিরসন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ইউটার্ণ নির্মাণে রোড সেফটি ডিজাইনের অনুমোদন রয়েছে বলেও জানান তিনি ।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মেহেদী ইকবাল জানান, আগামী ৩ মাসের মধ্যে ইউটার্ণ দুটি নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
এমএইচএচ/ ওয়াই এ / এস এস