ন্যাভিগেশন মেনু

রাজাকার সন্তানদের দম্ভ চূর্ণ করতে হবে এ দেশের সাধারণ মানুষের: আইজিপি


সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা হতভম্ভ হয়ে দেখি রাজাকার সন্তানরা দম্ভের সঙ্গে বলছে, আমি রাজাকারের সন্তান! মাত্র ৫০ বছরের মধ্যে এ রাজাকার সন্তানরা কিভাবে দুঃসাহস পায় এই বাংলার মাটিতে। এ দম্ভ চূর্ণ করতে হবে এ দেশের সাধারণ মানুষের।

বুধবার (২৮ জুলাই) দুপুর পৌনে ১টার দিকে ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ নোয়াখালী জেলা’ গ্রন্থ ও মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য ‘নির্ভীক’র মোড়ক উন্মোচন এবং জেলা পুলিশের তিনটি ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নোয়াখালী পুলিশ লাইন্সে অনলাইন ফ্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশের মহাপরির্দক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা দু’লক্ষ নারীর সম্ভ্রম হরণ করেছে, লক্ষ লক্ষ মানুষকে খুন করেছে, গণহত্যা চালিয়েছে এই গণহত্যার দোসররা মাত্র ৫০ বছরের মধ্যে আস্ফালন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোটি কোটি মানুষের সামনে দম্ভ করে বলে তারা রাজাকারপুত্র!

পুলিশ প্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে, তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমাদের পূর্বসূরীরা যে দেশ উপহার দিয়েছেন, তাদের যে অনবদ্য আত্মত্যাগ, সে মহান আত্মত্যাগের মর্যাদা ধরে রাখার দায়িত্ব হচ্ছে পরবর্তী প্রজন্মের সকল মানুষের। এটি একটি ঐতিহাসিক দায়, ঐতিহাসিক কর্তব্য। 

এরপর তিনি ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ নোয়াখালী জেলা গ্রন্থ’ ‘নির্ভীক’র মোড়ক উন্মোচন ও নবনির্মিত তিনটি ভবনের উদ্ভোধন ঘোষণা করেন।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত হন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান। 

অন্যান্যের মধ্যে কমান্ড্যান্ট (ডিআইজি) পিটিসি নোয়াখালী এস এম রোকন উদ্দিন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) মো.  ইকবাল হোসেন, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন।

‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ নোয়াখালী জেলা’ একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণাধর্মী গ্রন্থ। নোয়াখালীতে মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ সদস্যদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বগাথা কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে এ গ্রন্থে। যা এতোদিন অনেকটা চাপা পড়েছিল। গ্রন্থটিতে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় নোয়াখালী অঞ্চলের যুদ্ধের প্রস্তুতি, শত্রুর মোকাবেলা ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নিষ্ঠুর বর্বরতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

নির্ভীক ভাস্কর্যের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধে নোয়াখালী জেলা পুলিশের গৌরবদীপ্ত অবদান স্মরণ করিয়ে দেয়। মুক্তিযুদ্ধে নোয়াখালী জেলা পুলিশের দুঃসাহসী ভূমিকা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ভাস্কর্যটিতে।

অপরদিকে, সুধারাম মডেল থানা ভবন, নোয়াখালী পুলিশ লাইন্সে নারী পুলিশ সদস্যদের জন্য একটি ৪ তলাবিশিষ্ট নারী ব্যারাক ভবন নির্মাণ, ৪ তলাবিশিষ্ট সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ি উদ্বোধন করা হয়।

ডিএ/এডিবি/