ন্যাভিগেশন মেনু

রাহাতের মৃত্যু ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন


ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার কলেজ কর্তৃপক্ষের গঠন করা ৩ সদস্যের ওই কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম আহমেদ জানান, নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দৈনিক প্রথম আলোর সাময়িকী কিশোর আলোর একটি অনুষ্ঠান চলাকালে শুক্রবার বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় রেসিডেন্সিয়ালের নবম শ্রেণির ছাত্র আবরারের (১৫)।

ঢাকার আগারগাঁওয়ে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন কলেজটির দিবা শাখার ছাত্র আবরার। তাদের বাড়ি নোয়াখালী। পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।আবরারের মৃত্যুর ঘটনা সুষ্ঠুভাবে তদন্তের দাবিতে শনিবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরারের মৃত্যুতে ফুঁসে উঠেছে তার সহপাঠীরা।৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন, সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশসহ চার দফা দাবিতে শনিবার ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে বিক্ষোভ করে তারা।

পরে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি পেশ করেন কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদের কাছে।গতকাল শুক্রবার ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের মাঠে কিশোরদের মাসিক পত্রিকা কিশোর আলোর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে এসেছিল আবরার।সেখানে বিকালে অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয় সে।

পরে ওই মাঠে স্থাপিত জরুরি মেডিকেল ক্যাম্পের দুজন বিশেষজ্ঞ (এফসিপিএস) চিকিৎসক নাইমুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।এরপর তাকে মহাখালীর বেসরকারি ইউনিভার্সেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবরারকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাতেই রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের মাঠে জানাজা শেষে আবরারের লাশ গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ধন্যপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।

আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা। মৃত্যুর অনেকক্ষণ পরও ঘটনা চেপে রেখে অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়ায় আয়োজক ও কলেজ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

এস এস

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুনঃ  https://www.ajkerbangladeshpost.com