প্রতি বছর ঘুরে ঘুরে আসে শীত । শীতে দেখা দেয় নানা ধরনের সমস্যা । বিশেষ করে শীতে শিশুদে নিয়ে পড়তে হয় ব্যপক সমস্যায়।
শীতে শিশুর ত্বকের কোমলতা ও ময়েশ্চারাইজার এর ভারসাম্য ঠিক রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। শিশুর ত্বক বড়দের ত্বক থেকে ভিন্ন। তাই শিশুর ত্বকের যত্ন নেওয়ার পদ্ধতিও ভিন্ন।
শিশুর ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ও ঠাণ্ডার হাত থেকে রক্ষা করতে গোসলে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা উচিৎ। তবে শীতকালে ২ বছরের কম বয়সী শিশুকে প্রতিদিন গোসল করানোর প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে একদিন পর পর গোসল করালেই শিশুর ত্বক ভালো থাকবে।
খুব বেশি সময় ধরে নবজাতককে পানিতে রাখা যাবে না। দুপুরের দিকে অর্থাৎ যখন রোদ বেশ ভালোভাবে থাকে তখনই নবজাতককে গোসল করানো ভালো।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. কামরান উল বাসেত বলেন, প্রথমবারের মতো নবজাতকের গোসল করানো উচিৎ জন্মের অন্তত ৭২ ঘণ্টা পরে।
অনেকে আবার ৭ দিন পর গোসল করান। মায়ের গর্ভে শিশু যে আরামদায়ক উষ্ণতায় থাকে তা থেকে দুনিয়াতে এসেই তাপমাত্রার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য তার একটু সময় লাগে, তাই এর আগে কাপড় ভিজিয়ে গা মুছিয়ে দেয়া যাবে।
কিন্তু গোসল একেবারেই নয়। আর যেদিন গোসল করাচ্ছেন না সেদিন নরম কাপড় হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে স্পঞ্জ বাথ দিতে ভুলবেন না।
শিশুকে কি সাবান দিয়ে গোসল করাবেন?
সাবানের ক্ষার শিশুর কোমল ত্বককে শুষ্ক করে দিতে পারে। তাই যদি শুধু কুসুম-গরম পানি দিয়ে গোসল করাতে না চান, সাবানমুক্ত কোনো বডিওয়াশ বা শিশুদের উপযোগী ক্ষারমুক্ত সাবান ব্যবহার করতে পারেন।
শিশুকে কি গোসলের পরে গায়ে মালিশ করবেন?
চাইলে গোসলের পরে শিশুকে হালকা ম্যাসাজ করতে পারেন। শিশুদের ত্বক খুবই স্পর্শকাতর। শুষ্ক মৌসুমে শিশুর বাবা-মাকে থাকতে হবে বিশেষ সতর্ক। মূল কথা হলো শীতে শিশুর ত্বকের বাড়তি যত্নের কোনো বিকল্প নেই।
সিবি / এস এস