ন্যাভিগেশন মেনু

শুনানির জন্য আদালতে মিন্নি

 রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় শুনানীর জন্য বাবার সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে আদালতে গেলেন আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।

বুধবার এ মামলার শুনানির দিন ধার্য থাকায় বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আদালতে হাজির হন হাইকোর্টের আদেশে জামিনপ্রাপ্ত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।

মিন্নি আদালতে আসেন বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের সঙ্গে। আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত বাবার সাথে আদালতের একটি কক্ষে অবস্থান করেন তিনি।

আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে বরগুনা জেলা কারাগারে থাকা এ মামলার অপর ৭ অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।

আরো পড়ুনঃ

অবশেষে মিন্নির জামিন

বৃহস্পতিবার মিন্নির জামিনের রায়

এ বিষয়ে নিম্ন আদালতে মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, দুপুর ২টায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার মূল নথি এসে পৌঁছাবে। তাই দুপুর ২টায় এ মামলার অভিযোগপত্রের শুনানির সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত।

আজ মিন্নি আদালতে হাজির হওয়ার দিন থাকায় আদালত প্রাঙ্গণে তাকে দেখার জন্য ভিড় জমায় উৎসুক মানুষ। আদালত প্রাঙ্গণের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।

এর আগে গত ২৯ আগস্ট মিন্নিকে কেন জামিন দেয়া হবে না, মর্মে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ দুই শর্ত দিয়ে মিন্নির অন্তর্বর্তী স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করে রায় দেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ আগস্ট মিন্নির জামিনের বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ বলে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। তবে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর মিন্নিকে মিডিয়ার সঙ্গে কথা না বলার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ২৬ জুন রিফাতকে বরগুনার রাস্তায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে আলোচনার সৃষ্টি হয়। পর দিন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন, তাতে প্রধান সাক্ষী করা হয়েছিল মিন্নিকে।

পরে মিন্নির শ্বশুর তার ছেলে হত্যায় পুত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করলে ঘটনা নতুন দিকে মোড় নেয়। গত ১৬ জুলাই মিন্নিকে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

এমআইআর / এস এস