ন্যাভিগেশন মেনু

সংবিধান লঙ্ঘনকারীদের ভাগ্য আজ কঠিন: প্রধানমন্ত্রী


‘অল্প সময়ের মধ্যে এত কাজ জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের কীভাবে করে গেলেন তা আমরা ধারনাও করতে পারি না।  তাঁর লক্ষ্যই ছিল  বাংলাদেশকে সুন্দরভাবে সাঁজিয়ে তোলা। এখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়াই আমাদের লক্ষ্য।’

মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) ইতালির স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় রোমের একটি হোটেলে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ইতোমধ্যে ক্ষণগণনা উদ্বোধন করা হয়েছে। এখন মুজিববর্ষ উদযাপন করার সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৪ সালে জাতির পিতা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যে আইন করে দিয়েছে অর্থাৎ একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সমস্ত কাঠামো নীতিমালা, বিধিমালা যা যা দরকার হতে পারে সবই করে দিয়ে গেছেন তিনি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল, বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, মানুষ না খেয়ে কষ্ট পাবে না। প্রতিটি মানুষ সুন্দর জীবন পাবে, লেখাপড়া শিখবে। চিকিৎসা পাবে।

কিন্তু বঙ্গবন্ধু সে কাজ সম্পন্ন করে যেতে পারেননি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, একদিকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পথে যখন যাত্রা শুরু করলেন। আমাদের দুর্ভাগ্য ৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো।

শেখ হাসিনা বলেন, অবৈধভাবে যারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছে তাদের ভাগ্য আজ কঠিন। ঘুষ নেয়া ও দেয়া দুইটাই অপরাধ । এই কালচার বিএনপি শুরু করে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১২টা বিমান রয়েছে আরও তিনটি শিগগিরই যোগ হবে। অনেক দেশের বিমান সমস্যা সমাধান হয়েছে। ইতালিতে বিমান চালুর ব্যাপারে দেশটির সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। যে বাংলাদেশ থেকে কীভাবে বিমান আসতে পারে।

তিনি এ সময় হেসে বলেন বিমান হলে তো যাত্রীও লাগবে। এসময় প্রবাসী বাংলাদেশিরা জোড়াল কণ্ঠে বলেন কোনো সমস্যা নেই। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের এ সমস্যা সমাধান করতে আশ্বাস দেন।

তিনি আরও বলেন, প্রবাসীদের হয়রানি করা হয়, তা আমার জানা আছে। এটি সমাধানের জন্য আমরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করব। এরই মধ্যে টার্মিনাল- ৩ এর কাজ শুরু হচ্ছে।

এছাড়া ইতালি আওয়ামী লীগ সভাপতি ইদ্রিস ফরাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবালের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, রোমে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবাহান সিকদার, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতানা শরীফ প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জার্মান, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড,বেলজিয়াম,স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠের নেতাকর্মীরা ।

সফরের দ্বিতীয় দিন আজ বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব চ্যান্সারি ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দুপুরে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন পালাজো চিগিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কোন্তের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে দুই প্রধানমন্ত্রী এক সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজেও অংশ নেবেন।

বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকালীন আবাসস্থল পার্কো দেই প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেলে ব্যবসায়ী নেতারা সাক্ষাৎ করবেন তাঁর সঙ্গে। এরপর রাতে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।

সফরের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর দুপুরে ট্রেনে করে রোম থেকে মিলান যাবেন।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০মিনিটে আমিরাত এয়ারলাইন্সের ‘ইকে-২০৬’ ফ্লাইটে মিলান মেলপেনসা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন শেখ হাসিনা।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

এস এ / এস এস