ন্যাভিগেশন মেনু

সচিবালয়কে ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক মুক্ত ঘোষণার উদ্যোগ নেওয়া হবে:পরিবেশমন্ত্রী


একশ দিনের কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে সচিবালয়কে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক মুক্ত ঘোষণার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ১০০ (২৫ জানুয়ারি-৩০ জুন) কর্মদিবসের অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, দূষণ নিয়ন্ত্রণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পরিবেশ, বন, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ- এ চার ক্ষেত্রে না পদক্ষেপ তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

মন্ত্রী বলেন, ‘সচিবালয়ে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক (একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক) ফ্রি ঘোষণার উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশনা জারি করা হবে।’

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ এ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও পরিবেশ সুরক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন এবং এ মন্ত্রণালয়ের বর্ণিত চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার নির্ধারণ ও যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণে ১০০ কর্মদিবসের কর্মপরিকল্পনা স্থির করা হয়েছে। 

বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ, পাহাড় কাটা ও জলাধার ভরাট রোধসহ পরিবেশ সুশাসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ কর্মপরিকল্পনা জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি দ্রুত সাড়া দিতে মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সদিচ্ছা এবং অঙ্গীকারের প্রতিফলন হবে, যোগ করেন মন্ত্রী।

এজন্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থার জনবল কাঠামো হালনাগাদের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং কৃষিজমি রক্ষার্থে সরকারি নির্মাণে ১০০ শতাংশ ব্লক ব্যবহারে সংশোধিত রোডম্যাপ অনুমোদন দেওয়া হবে এবং বায়ুদূষণের প্রতিটি উৎস থেকে সৃষ্ট দূষণ মোকাবিলায় ন্যূনতম একটি করে কার্যক্রম নেওয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, এসইউপির উৎপাদন ও ব্যবহার কমিয়ে আনতে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি পণ্য প্রস্তুতকারক ও আমদানিকারকদের পণ্য থেকে সৃষ্ট বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বর্ধিত প্রযোজক জবাবদিহিতার (ইপিআর) খসড়া চূড়ান্ত করা হবে। এছাড়াও শিল্প কারখানার ইটিপি কার্যকরভাবে চালু রাখতে স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে অনলাইন মনিটরিং চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে।