ন্যাভিগেশন মেনু

সাভারে সরকারি ত্রাণসামগ্রী জব্দ করেছে প্রশাসন


সাভারের পাথালিয়া ইউনিয়নের একটি স্কুলের রুম থেকে বন্যাকালীন সময়ে বিতরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভান্ডার থেকে বরাদ্ধকৃত বেশ কিছু ত্রাণ জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) রাতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একরামুল হক পাথালিয়া ইউনিয়নের নয়ারহাট বিদ্যাপিঠ নামে একটি বিদ্যালয়ের দুটি রুম থেকে ৩৯টি শুকনো খাবারের বস্তা ও ৫২টি চালের প্যাকেট জব্দ করেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন সময় সরকার থেকে বরাদ্ধ দেওয়া এসব ত্রাণসামগ্রী জনগণের মধ্য বিতরণ না করে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে তা মজুদ করেছিলো পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ পারভেজ দেওয়ান। বিষয়টি নিয়ে তারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আরা নিপা দৈনিক বাংলাদেশ পোস্টকে বলেন, ”একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বরাদ্ধকৃত ত্রানগুলো বিতরণ করার কথা ছিলো, কিন্তু সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান তা করেননি। বিষয়টি জানার পর আমরা ঘটনাস্থল থেকে ত্রাণগুলো জব্দ করেছি। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ানকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে, তিনি যদি এর উপযুক্ত কারন ব্যাখ্যা করতে না পারেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।”

বিভিন্ন সময় সরকার থেকে বরাদ্ধকৃত ত্রাণসামগ্রী বিতরণের ক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা তদারকি করা হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ”সাধারণত ত্রাণ বিতরণের পর সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সুবিধাভোগীদের মাস্টার রোলের একটি তালিকা তৈরী করে উপজেলা প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়ার কথা, কিন্তু যে ত্রাণগুলো জব্দ করা হয়েছে সেগুলোর বিপরিতে কোন তালিকা আমাদের কাছে জমা পড়েনি, তাছাড়া ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে একজন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেওয়া থাকে। কেন সেগুলো বিতরণ করা হয়নি অবশ্যই সংশ্লিষ্টদের এর কারন ব্যাখ্যা করতে হবে।”

এদিকে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে জব্দকৃত ত্রানগুলো মজুদ রাখার অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ ও নবগঠিত সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পারভেজ দেওয়ান বলেন, ”একটি মহল আমার সুনাম নষ্ট করতে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। আত্মসাতের উদ্দেশ্যে নয়, বিতরণের জন্যই ত্রাণগুলো রাখা ছিলো। বিভিন্ন কারনে তা যথাসময়ে বিতরণ করা সম্ভব হয়নি।”

এডিবি/