ন্যাভিগেশন মেনু

সাহিত্যিক দেবেশ রায় আর নেই


চলে গেলেন কিংবদন্তি সাহিত্যিক দেবেশ রায়। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) রাত ১০ টা ৫০ মিনিটে কলকাতার তেঘরিয়ার ঊমা নার্সিংহোমে তাঁর মৃত্যু হয়।

এর আগে বুধবার তাঁকে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে ভেন্টিলেশনে নেন। তারপর রাত ১০টা ৫০ মিনিট নাগাদ তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।

দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন এই সাহিত্যিক। ভার্টিগোজনিত সমস্যার কারণে শারীরিক ভারসাম্যে অভাবেও ভুগছিলেন তিনি। বুধবার ডিহাইড্রেশানজনিত সমস্যা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।

দেবেশ রায়ের বেড়ে ওঠা উত্তরবঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সময় থেকেই প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। রাজনীতির সূত্রেই পুরো উত্তরবঙ্গ চষে বেড়ান। শিখেছিলেন রাজবংশী ভাষা। কলকাতায় থাকাকালীন সক্রিয় ভাবে ট্রেড ইউনিয়ন করায় শ্রমিক সমাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। এসবের পাশাপাশি সাহিত্য চর্চা করতেন। 

১৯৭৯ সাল থেকে এক দশক পরিচয় পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। তার প্রথম উপন্যাস 'যযাতি'। 'আহ্নিক গতি ও মাঝখানের দরজা’, ‘দুপুর’, ‘পা’, ‘কলকাতা ও গোপাল’, ‘পশ্চাৎভূমি’, ‘ইচ্ছামতী’, ‘নিরস্ত্রীকরণ কেন’, ও ‘উদ্বাস্তু’- এই আটটি গল্প নিয়ে বেরিয়েছিল তার প্রথম গল্পের সংকলন। 

'তিস্তাপারের বৃত্তান্ত' তার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাস। তার রাজনৈতিক বীক্ষার ছাপ রয়েছে এই উপন্যাসে। রয়েছে উত্তরবঙ্গের জীবনের বহতা ধরা। বাস্তববাদী উপন্যাসের প্রচলিত ছক থেকে সরে গিয়ে বহুস্বরকে নিয়ে আসেন। এই উপন্যাসের জন্যেই ১৯৯০ সালে তিনি সাহিত্য অ্যাকাদেমি পুরস্কার পান।

এডিবি/