ন্যাভিগেশন মেনু

সিদ্ধিরগঞ্জে ছেলেকে খুন করা মায়ের আত্মহত্যা

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী এলাকায় ছেলেকে হত্যার পর পলাতক মায়ের মরদেহ নরসিংদীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (৩১ মে) বিকেলে নরসিংদী শহরের বাজির মোড়ের হোটেল নিরালা থেকে ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, হোটেল রেজিস্টারে তিনি বাবার নাম লিখেছিলেন আবু তাহের এবং মায়ের নাম ফাতেমা জোহরা। ঠিকানা উল্লেখ করেছেন নরসিংদীর মাধবদীর ডৌকাদি গ্রাম। তবে রেজিস্টারে পাওয়া তার নাম-পরিচয় সম্পর্কে পুলিশ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে ওই নারীর নাম নাছরিন হলেও হোটেলের রেজিস্টারে তার নাম রেহানা আক্তার লেখা ছিল।

এর আগে রবিবার (৩০ মে) সিদ্ধিরগঞ্জে নাজমুছ সাকিব নাবিল (২০) নামে এক তরুণকে হত্যা করা হয়। নাবিলের মৃত্যুর জন্য নিহতের মা নাছরিন আক্তারকে দায়ী করছেন বাবা সগির আহমেদ। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নাছরিন আক্তারকে আসামি করে একটি হত্যা মামলাও দায়ের করেন। তবে ঘটনার পর থেকেই নাছরিন পলাতক ছিলেন।

হোটেল থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে, রবিবার (৩০ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই নারী একাই হোটেলে রাত্রি যাপন করতে আসেন। ওই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, গাজীপুর থেকে তিনি এসেছেন। রাত হয়ে যাওয়ায় হোটেলে থাকতে চান। রেজিস্টারে নাম-ঠিকানা লেখার পর ওই নারীকে হোটেলের নিচতলার ৬ নম্বর কক্ষ দেওয়া হয়। ওই সময় তিনি একটি পলিথিনের ব্যাগে করে রাতে খাওয়ার জন্য নাশতা সঙ্গে এনেছিলেন। এরপর তিনি আর ওই কক্ষ থেকে বের হননি। সোমবার সকালে তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেন হোটেলের কর্মচারীরা। পরে নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মুঠোফোনে ঘটনা জানানো হয়।

পুলিশ বলছে, খবর পেয়ে দুপুরের দিকে তারা ওই আবাসিক হোটেলে গিয়ে নারীকে ডাকাডাকি করেন। সাড়া না পেয়ে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে দরজা ভেঙে ওই কক্ষে প্রবেশ করে পুলিশ। এ সময় গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় তারা।

প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, ওই নারী আত্মহত্যা করার জন্যই গতকাল সন্ধ্যায় হোটেলে উঠেছিলেন। তবে যে মুঠোফোন নম্বরটি তিনি রেজিস্টারে উল্লেখ করেছিলেন, তা বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি মুঠোফোনটি সঙ্গে এনেছিলেন কি-না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সার্বিক দিক মাথায় রেখে তদন্ত করছে পুলিশ। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হোটেলটির ম্যানেজারকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

এমএইচএস/ওয়াই এ/এডিবি/