ন্যাভিগেশন মেনু

সিদ্ধিরগঞ্জে সহযােগীসহ প্রতারকচক্রের মূল হোতা গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে বহুমুখী সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্রের মূল হোতা প্রদীপ চন্দ্র বর্মণকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। একই সঙ্গে মো. আনিসুর রহমান (৪৫) নামে তার এক সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ জুন) সকালে র‌্যাব-১১ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে সোমবার (৩১ মে) দুপুর ৩টায় সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানীনগর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে  একটি প্রাইভেটকার, দুইটি মোবাইল সেট, ব্যানার, জীবনবৃত্তান্ত ফরম ও  তালাশ নিউজ-৭৯ টিভি নামের আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বহুমুখী প্রতারক চক্রের মূলহোতা প্রদীপ চন্দ্র বর্মণ ওয়াকিটকি সেট, মনোগ্রাম সম্বলিত জ্যাকেট ও হ্যান্ডকাফ দেখিয়ে নিজেকে একাধারে ‘সমাজের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চেয়ারম্যান, তালাশ নিউজ টিভি-৭৯ ও দৈনিক সত্যের সংগ্রাম পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। এছাড়া ভুয়া আইডি কার্ড তৈরি করে ট্রাফিক পুলিশ ও যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে চাকরির আশ্বাস এবং তার কথিত টিভি চ্যানেল ও ‘সমাজের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার’ অন্যান্য সদস্যপদে ও নিউজ চ্যানেলের জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিতো।

পরবর্তীতে তার কাছে কেউ টাকা ফেরত চাইলে তার কথিত টর্চার সেলে নিয়ে সে তাদের অত্যাচারের হুমকি দিতো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, প্রদীপ চন্দ্র একসময় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিল। ২০১৫ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

এ ছাড়াও অবৈধভাবে ওয়াকিটকি সেট ব্যবহার ও বিতরণ করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

প্রতারক প্রদীপের প্রধান সহযোগী আনিসুর রহমান নিজে মূলত একজন রিকশাচালক বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। সে নতুন সদস্য সংগ্রেহের কাজে তাকে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করে আসছিলো। গ্রেফতার দুইজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

এমএইচএস/ ওয়াই এ/এডিবি/