ন্যাভিগেশন মেনু

সুখি পরিবার সৃজিত-মিথিলা-আয়রা


বাঙালি হলেও তাঁরা ভিন দেশের বাসিন্দা। ধর্ম ভিন্ন হলেও তাঁরা এক মনের অধিকারী। তাই তাঁদের কাছে ধর্মের কোন স্থান নেই। সুখেই তাঁরা ঘর-সংসার করে যাচ্ছেন।

বাবা-মায়ের সঙ্গে তিন মাসেরও বেশি সময় কাটিয়ে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় শ্বশুড় বাড়ি গিয়েছেন রাফিয়াত রাশিদ মিথিলা এবং তার মেয়ে আয়রা। কয়েকদিন ধরেই পরিবারের সেই পুণ:র্মিলনের হাসিখুশি ছবি দেখা গেছে নেট মাধ্যমে। কিন্তু এর মধ্যেই মঙ্গলবার নেটমাধ্যমে সৃজিত জানালেন, আইরার চোখে অস্ত্রোপচার হবে এবং সেই অপেক্ষাতেই রয়েছেন তিনি।

সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা সেই ছবিতে দেখা গেছে, হাসপাতালের সোফার উপর পা তুলে, গালে হাত দিয়ে বসে আছে ছোট্ট আইরা, মেয়েকে আগলে ধরে আছেন সৃজিত। আইরার চোখে চশমা, মুখে মাস্ক।

সৃজিতও করোনা সতর্কতায় মুখ মাস্কে ঢাকতে ভোলেননি। ছবির সঙ্গে সৃজিত লিখেছেন, আমার রাজকন্যার চোখের অস্ত্রোপচারের জন্য অপেক্ষা করছি। সার্জারির অপেক্ষা করলেও আয়রার চোখে মুখে কোনও ভয় বা দুশ্চিন্তার ছাপ নেই। সৃজিতের ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে দিব্যি ছবি তুলেছে সে।

সৃজিতের পোস্টের কমেন্ট বক্সে বন্ধু ও অনুসারীরা আয়রাকে দ্রুত সেরে উঠতে শুভ কামনা জানিয়েছেন। তবে চোখে ঠিক কী সমস্যা হয়েছে আইরার তা স্পষ্টভাবে কিছু জানাননি সৃজিত।

গায়ক-অভিনেতা তাহসান রহমান খান এবং রাফিয়াত রাশিদ মিথিলার একমাত্র কন্যা আয়রা তেহরিম খান। ২০১৭ সালে তাহসান এবং মিথিলার বিচ্ছেদ হয়।

বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর মায়ের কাছেই থাকে আইরা, তবে বাবার সঙ্গেও মেয়ের সখ্যতা বজায় রয়েছে পুরো মাত্রায়। বাংলাদেশে থাকলে বাবার সঙ্গে সময় কাটাতে ভোলে না সে।

পাশাপাশি, সৃজিতের সঙ্গেও সহজ বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে আট বছরের ছোট্ট আয়রার। দূরে থাকলে ফোন বা ভিডিও কলেই চলে তাদের আড্ডা-খুনসুটি।

এস এস