ন্যাভিগেশন মেনু

সোমবারও জামিন হয়নি পরীমনির, আবেদন শুনানি বুধবার


হালের বহুল আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির জামিনের আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান। আজ সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান।

তিনি জামিনের আবেদনে বলেছেন, পরীমনি একজন ‘প্যানিক অ্যাটাক রোগী। দীর্ঘ সময় পুলিশ কাস্টডিতে থেকে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসার স্বার্থে আসামিকে জামিন দেওয়া হোক। রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে হওয়া মামলায় আসামি পরীমনি। তবে শুনানির জন্য আগামী বুধবার (১৮ আগস্ট) দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এর আগে গত শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে পরীমনিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা।

রাষ্ট্রপক্ষ পরীমনির জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা উল্লেখ করেন, 'মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আসামি শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে স্মৃতিমনি ওরফে পরীমনিকে জেলহাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন।

আসামি জামিনে মুক্তি পেলে মামলার তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি পলাতক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।সেখানে আরো বলা হয়, 'রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার বিষয়ে আসামি (পরীমনি) বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত দিয়েছেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

মামলার অভিযোগের সঙ্গে তার জড়িত থাকার ব্যাপারে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তদন্ত অব্যাহত আছে। মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেলহাজতে আটকে রাখা একান্ত প্রয়োজন।' 

গত ৪ আগস্ট পরীমনিকে তার ঢাকার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়। তার ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। এরপর রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরীমনিকে তাঁর বাসা থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র‌্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। ৮টা ৪৫ মিনিটে গাড়ি কুর্মিটোলায় র‌্যাব সদর দপ্তরে পৌঁছে। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

পরদিন ৫ আগস্ট বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে র‌্যাব সদর দপ্তর থেকে পরীমনি, রাজ ও তাঁদের দুই সহযোগীকে কালো একটি মাইক্রোবাসে করে নিয়ে বনানী থানায় রওনা দেয় র‌্যাবের একটি দল। এরপর আদালত পরীমনিকে চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে আবার দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

রিমান্ড শেষে গত ১৩ আগস্ট পরীমনি ও তাঁর সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুর জামিন আবেদন খারিজ করে তাঁদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

এস এস