ন্যাভিগেশন মেনু

স্বামীকে মাদকে বেহুঁশ করে প্রেমিকের সঙ্গে অভিসারে স্ত্রী, অতপর...


কথায় বলে, 'প্রেমের মজা পরকীয়ায়'। এটা একমাত্র তারাই বুঝবে, যারা এতে মজেছেন। মাদকাসক্তি আর প্রেমাসক্তি দুটোই মারাত্নক। এমনই একটি ঘটনা ঘটলো ভারতের উত্তরপ্রদেশে।

স্বামীকে মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করে প্রতি রাতে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে চলতো উদ্দাম প্রেম ও যৌনাচার। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস ভালোই চলছিল তাদের অভিসার। প্রেম যৌনতার মিশেলে রঙিন হয়ে উঠতো চার দেওয়ালে বন্দি রাত। কিন্তু প্রেমের নেশা তুঙ্গে থাকলেও একদিন মাদকের নেশা কিছুটা কম পড়তেই ফাঁস হয়ে গেলো সব কীর্তি।

উত্তরপ্রদেশের বরেলি জেলায় কাঁটে থানার পুলিশকর্মী অঙ্কুরের সঙ্গে সরাফ নামের এক ব্যক্তির স্ত্রীর পরকীয়ার ঘটনা সামনে আসতেই চরম শোরগোল শুরু।

জানা যায়, কাঁটে থানায় বদলি হয়ে আসার পর একদিন রাস্তায় সরাফের স্ত্রীকে দেখে প্রেমে পড়ে যায় পুলিশ কনস্টেবল অঙ্কুর। খোঁজ নিয়ে প্রেমের টানে ওই মহিলার স্বামী সরাফের সঙ্গে বন্ধুত্ব জমায় অঙ্কুর। এই সুবাদে চলে সরাফের বাড়িতেও যাতায়াত। সুযোগ বুঝে অঙ্কুর প্রেম প্রস্তাব দেয় সরাফের স্ত্রীকে। তাতে রাজিও হয়ে যায় ওই নারী। ব্যাস, সম্মতি মিলতেই জোর কদমে শুরু হয়ে যায় অভিসারের প্রস্তুতি।

সরাফের ফ্ল্যাটের পাশেই ফ্ল্যাট ভাড়া নেন অঙ্কুর। তারপর দুজনে মিলে পরিকল্পনা করেন সরাফকে এড়িয়ে প্রেমপর্ব কিভাবে চালানো সম্ভব হবে। অঙ্কুরই নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে মাদকদ্রব্য কিনে এনে দিতো সরাফের স্ত্রীকে। সেই মাদকই প্রতিরাতে স্বামীর দুধে মিশিয়ে খাওয়াতেন অঙ্কুরের প্রেমিকা। মাদকের প্রভাবেই কিছুক্ষণের মধ্যেই সরাফ অচেতন হয়ে পড়লেই অঙ্কুরকে ফ্ল্যাটে ডেকে নিতো সরাফের পত্নী। 

এভাবে ভালই চলছিলো অভিসার। কিন্তু ছন্দপতন ঘটে একরাতে পেট খারাপ থাকায় সরাফ মাদক মেশানো দুধ না খাওয়ায়। কিন্তু অঙ্কুরের প্রেমে মশগুল সরাফের স্ত্রী তা খেয়াল না করেই প্রতিদিনের মতো অভিসারে প্রেমিককে ডেকে নেন। অন্য ঘরে লীলাখেলা শুরু হতেই শীৎকারে ঘুম ভেঙে যায় সরাফের।

তারপর চুপিচুপি সেখানে পৌঁছে সরাফ দেখে, যৌনক্রীড়ায় ব্যস্ত দুই প্রেমিক যুগলের কোনওদিকেই খেয়াল নেই। রাগে ক্ষোভে দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়লেও প্রমাণ হাতে রাখতে দুজনের অভিসারের সেই পর্ব নিজের মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করে রাখেন সরাফ।

পরদিন সকালে টের পাওয়া গেলো হাঙ্গামা। ভিডিও নিয়ে সোজা কাঁটে থানায় হাজির হয় সরাফ। সরাসরি অঙুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

নিজের দপ্তরের কর্মীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে অঙ্কুরকে গ্রেপ্তার করে এসইপি।

ঘটনার পর সরাফ তার স্ত্রীকে কেমন 'মহব্বত' করেছে তা অবশ্য জানা যায়নি। সুত্র: ইন্ডিয়া টাইমস

এডিবি/