ন্যাভিগেশন মেনু

হলদিবাড়ী-চিলাহাটি রেলপথ, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ভোগ করবে সেভেন সিস্টার্সও


হলদিবাড়ী-চিলাহাটি রেলপথ পুণ চালু হওয়ায় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ভোগ করবে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল রাজ্যের সেভেন সিস্টার্সও।দীর্ঘ ৫৫ বছর পর বাংলাদেশের  উত্তরের জেলা নীলফামারীর চিলাহাটি ও  কোচবিহারের হলদিবাড়ীর মধ্যে রেল যোগাযোগের পথ চালু হয়েছে।

বাংলাদেশের মোংলাবন্দর এবং উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাংশ, বিশেষ করে সেভেন সিস্টার্সখ্যাত ৭ রাজ্যে এবং নেপাল ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম জোরদার হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। একই সঙ্গে এ রেলপথ দিয়ে বাংলাদেশি পর্যটকদের দার্জিলিংসহ উত্তর-পূর্ব ভারতে ভ্রমণ আরও সহজ হবে। এতে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান জানান, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে কানেকটিভিটি বাড়ানোর বিরাট লক্ষ্য রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেল যোগাযোগ চালু করা হয়েছে।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক সংযোগ তৈরি হবে। বাড়বে মানুষের যাতায়াত। এটি অত্যন্ত ইতিবাচক। ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহী সদস্য এমএ আজিজ বলেন, রেল যোগাযোগ চালু হলে উভয় দেশই লাভবান হবে। আমদানি-রপ্তানি বাড়বে।

বিশেষ করে দেশের মানুষ সহজেই দার্জিলিং হয়ে ভুটান ও নেপালে যেতে পারবেন।নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মারুফ জামাল কোয়েল বলেন, বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশই উপকৃত হবে। বিশেষ সেভেন সিস্টার, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়বে। নতুন রেলপথ চালু হওয়ায় বাণিজ্যিক খরচ অনেকটাই কমে আসবে।

অন্যদিকে মোংলাবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়বে।১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারতভাগের পর চিলাহাটি-হলদিবাড়ী পথে রেল চলাচল চালু ছিল। সেই সময়ে এ পথে দুই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলাচল করত যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের পর বন্ধ হয় দুই দেশের রেল চলাচল।

২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দুই দেশের বন্ধ রেল সংযোগগুলো চালুর সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে চিলাহাটি-হলদিবাড়ী পথও ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়ে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ অংশের ৯ কিলোমিটারে ব্রডগেজ রেললাইন ও অবকাঠামো নির্মাণে ৮০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়। অন্যদিকে ভারতের অংশে সাড়ে তিন কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে প্রকল্প নেয় ভারত সরকার। ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে দর্শনা হয়ে যাত্রীবাহী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চালু আছে।

খুলনা থেকে বেনাপোল হয়ে কলকাতায় চলাচল করে বন্ধন এক্সপ্রেস। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে দুই পথেই যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। চিলাহাটি-হলদিবাড়ী হয়ে শিলিগুড়ি পর্যন্ত ট্রেন চালুর বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। বৃহস্পতিবার  সেই সংযোগ চালু হয়।

এস এস