ন্যাভিগেশন মেনু

করোনাকে তুড়ি মেরে কিশোরীকে গণধর্ষণ পাকড়াও ৭


নভেল করোনাভাইরাসের নখরহানায় বিশ্বজুড়ে কাঁপুনি ধরেছে।কী করে মানুষ বাঁচবে তাই নিয়ে সবাই দিন কাটাচ্ছে।দেশে সরকারি হিসেবে ৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।

এ সত্বেও তখনও কিছু কামপিপাসু তাদের কর্ম নিয়ে ব্যস্ত। এমনই এক কাণ্ড ঘটেছে দেশের পশ্চিমের জেলা যশোরে। যশোরের অভয়নগর উপজেলায় এক কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

গত সোমবার রাতে উপজেলার বুইকারা গ্রামের রানাভাটা এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ চক্র ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।এ ঘটনায় ওই কিশোরী গত মঙ্গলবার রাতে অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেছে। পরে পুলিশ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত সোমবার অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পীরবাড়ি এলাকায় পূর্ব পরিচিত বন্যা চৌধুরী ওই কিশোরীকে তার বুইকারা গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যান।

রাতে তার রানাভাটার সামনে এলে ৪ ব্যক্তি এসে তাদের পাশের একটি বাঁশবাগানে নিয়ে যায়। ওই বাগানে আরো ৫ জন লোক ছিল। তারা বন্যাকে দূরে বসিয়ে রেখে কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

একপর্যায়ে বন্যা দৌড়ে রাস্তায় গিয়ে তন্ময় নামে একজনকে ডেকে আনেন। ওই ব্যক্তি ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করেন এবং বন্যা ও তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

এরপর রাতে তাদের বুইকারা গ্রামের কামালের বাড়িতে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে গিয়ে ওই কিশোরী ৪ ধর্ষককে চিহ্নিত করলে তন্ময় ও তার লোকজন পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অভিযুক্তদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে।

পরদিন দুপুরে কিশোরী আবারো দুই ধর্ষককে শনাক্ত করিয়ে তন্ময় ও তার লোকজন তাদের কাছ থেকে আরো ৫০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে। এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় মামলা করেন নির্যাতনের শিকার কিশোরী।

অভয়নগর থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, মামলার পাওয়ার পর অভিযুক্ত বন্যা, তিন ধর্ষক ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। এছাড়া আটকদের বৃহস্পতিবার হাজতে পাঠানো হয়েছে।

এস এস