ন্যাভিগেশন মেনু

করোনাভাইরাস আতংকে নিউইয়র্কে জনজীবন থমকে দাঁড়িয়েছে


করোনাভাইরাস আতঙ্কে নিউইয়র্কে জনজীবন থমকে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতি ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ফ্লোরিডা-ভার্জিনিয়া-পেনসিলভেনিয়া-নিউজার্সি হয়ে নিউইয়র্ক পর্যন্ত বিস্তৃত।

বিশেষ করে যারা ট্যাক্সি চালান অথবা সাবওয়ে/বাস ব্যবহার করেন, তাদের গতিবিধি সংকুচিত হয়েছে। এক ধরনের ভীতি গ্রাস করেছে স্বাভাবিক জীবন-যাত্রায়।

যদিও ৮ মার্চ রবিবার পর্যন্ত কোন বাংলাদেশী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি।

এদিকে ক্যালিফোর্নিয়া এবং ফ্লোরিডার পর নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যেও বিশেষ জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে। জনসমাবেশ পরিহার এবং বিশেষ জরুরী প্রয়োজন ব্যতিত বাস-সাবওয়ে ব্যবহার না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মচারি অথবা ছাত্র আক্রান্ত হয়নি, সেগুলো খোলা রাখা হচ্ছে। তবে নিজে থেকেই অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়া থেকে বিরত রয়েছে।

অন্যদিকে নিউইয়র্ক অঞ্চলে বাংলাদেশীসহ দক্ষিণ এশিয়ানদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পণ্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

অর্থাৎ করোনাভাইরাস আতঙ্কে ব্যবহার করে অব্যবসায়ীসুলভ মনোভাবকে জাগ্রত করার অভিযোগ উঠেছে। তবে বহুজাতিক স্টোরগুলোতে পণ্যমূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে এবং প্রবাসীরাও ছুটছেন সে সব স্টোরেই।

এদিকে করোনাভাইরাসে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছে ২১ জন এবং আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫৪৭।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী আক্রান্তদের ৩-৪% এর প্রাণহানী ঘটছে। তবে এ সংখ্যাও সঠিক নয়। কারণ, অনেক মৃত্যুর সঠিক তথ্য পায়না স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তারা।

এদিকে করোনাভাইরাসজনিত চিকিৎসার জন্য ৮.৩ বিলিয়ন ডলারের একটি বরাদ্দ দিয়েছে ফেডারেল প্রশাসন। কংগ্রেসে এ বাজেট পাশের পরই সেখানে স্বাক্ষর দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

ওয়াই এ/এডিবি