নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা ভাইরাসের এই দুর্যোগকালেও অপকর্ম থেমে নেই কামপিপাসুদের। তারা ঠিকই তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অপকর্ম করে যে পার পাওয়া যায়না তা তারা বুঝতে চায়না।ধরা খেয়ে পরে তাদের চরম খেসারত দিতে হয়।
দুর্যোগের এই দিনে এমনই কয়েকটি কাণ্ডের খবর মিলেছে।
যশোর থেকে সংবাদদাতা জানান, দেশের পশ্চিম জনপদ জেলা যশোরের অভয়নগরে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
এ গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ সোহেল রানা নামে এক যুবককে আটক করেছে। ওই গৃহবধূর দাবি, সতীনের তালাক করিয়ে দেবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে ডেকে নিয়ে ফাঁদে ফেলে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
এই মামলায় উপজেলার ইছামতি গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে সোহেল রানা, গোপীনাথপুর গ্রামের খোকা শেখের ছেলে হেকমত শেখ, বারিক শিকদারের ছেলে টিপু শিকদার, হিদিয়া গ্রামের মুনসুর গাজীর ছেলে নাজমুল গাজী ও খায়বার বিশ্বাসের ছেলে শফিকুল বিশ্বাসকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে ওই গৃহবধূ উল্লেখ করেছেন, ১০/১২ দিন আগে অটোবাইকে মামাবাড়ি যাওয়ার পথে নাজমুল ও শফিকুলের সাথে তার পরিচয় হয়।
এক পর্যায়ে তিনি তার সাংসারিক জটিলতার কথা তুললে ওই দু'জন তার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মোবাইল নম্বর নেয়। গত ২৪ মার্চ অভিযুক্তরা তাকে ফোন দিয়ে ইছামতি গ্রামের পাগলা বাবার মাজারে দেখা করতে বলে।
সেখানে গেলে তার কাছ থেকে তার স্বামীর মোবাইল নম্বর নিয়ে ওই দুইজন তার স্বামীকে ফোন দেন এবং দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার জন্য হুমকি দেন।
এরপর ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় ফের ফোন দিয়ে তাকে একই স্থানে ডাকা হয়। সেখান থেকে সোহেল রানা ও টিপু শিকদার তাকে একটি মোটরসাইকেলে উঠিয়ে গলাচিপা মোড়ের সুশান্তের পরিত্যক্ত জমিতে নিয়ে যায়।
সেখানে সোহেল রানা হত্যার হুমকি দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর সেখানে হেকমত পৌঁছায় এবং তাকে ধর্ষণ করে। এরপর সোহেল রানা ও টিপু শিকদার মোটরসাইকেলে উঠিয়ে তাকে ইছামতি প্রাইমারি স্কুলের সামনে নামিয়ে চলে যায়।
অভয়নগর থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, ওই নারীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে সোহেল রানাকে আটক করা হয়েছে।
অভিযুক্ত অন্যরা পালিয়ে আছে। সোমবার ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।
এস এস
সর্বশেষ সংবাদ পেতে ভিজিট করুন আজকের বাংলাদেশ পোস্ট।