ন্যাভিগেশন মেনু

কাহারোলে ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণে সূর্যমুখী চাষ


দিনাজপুরের কাহারোলে ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণে সূর্যমুখীর পরীক্ষামূলক চাষ করা হয়েছে। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১৫ হেক্টর জমিতে চলতি বছরে প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী চাষ করছে ১২০ জন কৃষক।

নতুন এ ফসলে সম্প্রসারণ ঘটিয়ে স্থানীয়ভাবে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সূর্যমুখীর তেল উৎপাদন করে শারীরিক সুস্থ্যতা ও সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছেন সূর্যমুখীচাষীরা।

সূর্যমুখী চাষের সম্প্রসারণ ঘটাতে কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রণোদনা হিসেবে ১২০ জন কৃষকের মাঝে এক কেজি করে সূর্যমুখী বীজ দেওয়া হয়। বর্তমানে এসব খেতে ফুল আসায় ফুলের সাথে চাষীর মুখেও হাসি ফুটেছে।

নতুন ফসল সম্পর্কে কাটনা গ্রামের কৃষক নির্মল চন্দ্র রায় ও সন্তোষ চন্দ্র রায় বলেন, আমরা আগে কখনো সূর্যমুখী চাষ করিনি। শুধু সূর্যমুখী চাষ আর সূর্যমুখী  তেলের কথা শুনেছি।

নির্মল চন্দ্র রায় জানান, এবার তিনি ৩৩ শতক জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন।

অপর চাষী সন্তোষ চন্দ্র রায় বলেন, আমি ৪০ শতক জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি ,ফলন ভালো হবে বলে আশা করছি।

কাহারোলের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, আগামী দুইমাসের মধ্যে সূর্যমুখী ফসল ঘরে তোলা যাবে।

কাহারোল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু জাফর মোঃ সাদেক আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে জানান, মানবদেহে নিরাপদ পুষ্টির চাহিদা পূরণ ও বাজারে থাকা ভোজ্যতেলের বিকল্প হিসেবে এবং সূর্যমুখী চাষের সম্প্রসারণ ঘটাতে চলতি মৌসুমে ১৫ হেক্টর জমিতে ১২০ জন কৃষকে সূর্যমুখী চাষ করার সকল প্রকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। চাষীদের এসব ফসল বাজারজাত করতে কৃষি অফিস সার্বিক সহযোগীতা করছে। পাশাপাশি সূর্যমুখী বীজ থেকে স্থানীয়ভাবে তেল উৎপাদন করতে আগ্রহীদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কাহারোল উপজেলায় নতুন এই ফসলটি সম্প্রসারণ ও উন্নত চাষ পদ্ধতি ব্যবহারে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছি।

এএস/এসএ/এডিবি/