ন্যাভিগেশন মেনু

ক্রিপ্টোকারেন্সি’র লেনদেন অপরাধ নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক


ভার্চুয়াল ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন অবৈধ বা অপরাধ নয় বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জুরাই) সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা সিআইডি কে সম্প্রতি পাঠানো এক চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এমন মতামত জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের সহকারী পরিচালক শফিউল আজম ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে ব্যাংকের অবস্থান জানান সিআইডিকে।

চিঠিতে  বলা হয়, ক্রিপ্টোকারেন্সি একধরনের ভার্চুয়াল মুদ্রা এবং তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে লেনদেন হয়ে থাকে। সারা বিশ্বে বর্তমানে এ ধরনের মুদ্রার সংখ্যা আট হাজারের বেশি এবং এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় বিট কয়েন।

২০০৮ সালের শেষভাগে জাপানি নাগরিক সাতোশি নাকামোতো নামের একজন এবং একদল সফটওয়্যার বিজ্ঞানী এই ক্রিপ্টোকারেন্সির উদ্ভাবন করেন। বর্তমান বিশ্বে ভার্চুয়াল এই মুদ্রার বাজার দুই ট্রিলিয়ন আমেরিকান ডলারের সমপরিমাণ।

চিঠিতে আরও বলা হয়, ক্রিপ্টোকারেন্সির মালিকানা, সংরক্ষণ বা লেনদেন স্বীকৃত না হলেও এটিকে অপরাধ বলার সুযোগ নেই মর্মে প্রতীয়মান হয়। ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের ফলাফল হিসেবে দ্বিতীয় পর্যায়ে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭; সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর আওতায় অপরাধ হতে পারে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সিআইডি এ নিয়ে অনুসন্ধান করে দেখতে পারে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রচলনের প্রাথমিক পর্যায়ে বিশ্বের কোনো আইনগত কর্তৃপক্ষ এই মুদ্রাকে স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু বর্তমানে কয়েকটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক/মুদ্রা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনকে বৈধতা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো এ ধরনের প্রাইভেট কারেন্সিতে লেনদেন বা সংরক্ষণের অনুমোদন দেয়নি। বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ ব্যাংক বিটকয়েনের মতো কৃত্রিম মুদ্রায় লেনদেন থেকে বিরত থাকার বিষয়ে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে।

সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের মাধ্যমে অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে। ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো কোনো নীতিমালা প্রণয়ন করেনি।

সিবি/এডিবি/