ন্যাভিগেশন মেনু

চট্টগ্রামর মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন


আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এদিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা বেছে বেছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান সাংবাদিক, চিকিৎসক, শিক্ষক, নাট্যকার, সাংস্কৃতিকর্মী  তথা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। তবে বুদ্ধিজীবীদের সবচেয়ে বেশি হত্যা করা হয় ১৯৭১ এর ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে, যখন পাকিস্তানি শাসকরা বুঝতে পারে তাদের দিন শেষ হয়ে আসছে, পরাজয় সুনিশ্চিত।

এ দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়  ফয়েজ লেক বধ্যভূমি প্রাঙ্গণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, ডিআইজি নুরে আলম মিনা, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন। 

প্রথমে বিভাগীয় কমিশনারসহ সকলে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন। এরপর বিভাগীয় কমিশনার শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে একে একে সকলে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্যদিয়ে শহীদদের স্মরণ করেন।

স্মরণানুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত ইউনিট কমান্ডার এ কে এম সরোয়ার কামাল বলেন,  মুক্তিযুদ্ধের কিছুদিন পরেই  স্বাধীনতা বিরোধীরা মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমাহকে হত্যা করে দেশকে আগের জায়গায় নিয়ে যায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে আমরা সেই হারানো গৌরবকে আস্তে আস্তে ফিরে পাচ্ছি। 

মুক্তিযুদ্ধের চারটি স্তম্ভের মধ্যে তিনটি কিছুটা অর্জন করতে পারলেও একটাতে এখনো অসফলতা রয়ে গেছে। সাম্প্রদায়িকতার ছোবল থেকে আমরা এখনো মুক্ত হতে পারিনি। একটা দেশকে ধ্বংস করে দেয়ার ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িকতাই যথেষ্ট। তাই আমাদেরকে সর্তক থাকতে হবে যাতে সমাজে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে পরতে না পারে