ন্যাভিগেশন মেনু

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপিপন্থীদের চমক


চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচন-২০২৪ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়ে নতুন চমক সৃষ্টি করেছে বিএনপি-জামায়াতপন্থীদের সমর্থিত আইনজীবী এক্য পরিষদ। অ্যাডভোকেট নাজিম-রাজ্জাক-কাশেম প্যানেল সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ ১৩টি পদে বিজয়ী হয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামীলীগপন্থীদের সমর্থিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ পেয়েছে সহসভাপতিসহ ৭টি পদ। এখানে স্বতন্ত্র পেয়েছে ১টি পদ।

গত রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শেষে দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন মুখয নির্বাচনী কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: ফখরুদ্দিন চৌধুরীসহ চার নির্বাচনী কর্মকর্তা।

এবার আইনজীবী সমিতি নির্বাচন-২০২৪ এর ৫ হাজার ৬৩৬ জন ভোটারের মধ্যে ৪ হাজার ৪৪৯ জন আইনজীবী তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এতে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ২১টি পদে নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনে সম্পাদকীয় পদ ১০টি, নির্বাহী সদস্য পদ ১১টি। নির্বাচনে সমন্বয় পরিষদ, ঐক্য পরিষদ ও স্বতন্ত্রসহ মোট প্রার্থী ছিলেন ৪৫ জন।

এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে ঐক্য পরিষদের মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী ২ হাজার ৭৯৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের মতো জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সমন্বয় পরিষদের আবু মোহাম্মদ হাশেম পেয়েছেন ১ হাজার ৫৯৪ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে ঐক্য পরিষদের মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক ২ হাজার ২৮৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সমন্বয় পরিষদের মুহাম্মদ ফখরউদ্দিন জাবেদ পেয়েছেন ২ হাজার ১০৭ ভোট।
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ঐক্য পরিষদের মো. আবদুল কাদের ২ হাজার ২৬৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সমন্বয় পরিষদের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আজিজ উদ্দীন (হায়দার) পেয়েছেন ২ হাজার ১২৩ ভোট।
সহ-সভাপতি পদে সমন্বয় পরিষদের বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজুর রহমান খান ২ হাজার ৪৫৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্য পরিষদের মো. জালাল উদ্দিন পেয়েছেন ১ হাজার ৯৩০ ভোট।

সহসাধারণ সম্পাদক পদে ঐক্য পরিষদের মোহাম্মদ কাশেম কামাল ২ হাজার ৪৮৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সমন্বয় পরিষদের মো. আখতারুজ্জামান (রুমেল) পেয়েছেন ১ হাজার ৭৫৮ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল উদ্দীন পেয়েছেন ৯৯ ভোট।

অর্থ সম্পাদক পদে ঐক্য পরিষদের কাজী মো. আশরাফুল হক আনসারী (জুয়েল) ৩ হাজার ২২১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সমন্বয় পরিষদের খাইরুন্নিসা আখতার (নিসা) পেয়েছেন ১ হাজার ১৮৩ ভোট।
পাঠাগার সম্পাদক পদে ঐক্য পরিষদের আহমেদ কবির (করিম) ২ হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সমন্বয় পরিষদের মুহাম্মদ আফজাল হোসাইন পেয়েছেন ১ হাজার ৮৩৭ ভোট।
সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ঐক্য পরিষদের মারুফ মো. নাজেবুল আলম ২ হাজার ৫৭০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সমন্বয় পরিষদের নাসরিন আখতার চৌধুরী পেয়েছেন ১ হাজার ৪৭৮ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী সুচিত্রা লালা মুন্নী পেয়েছেন ৩৭৮ ভোট।

ক্রীড়া সম্পাদক পদে সমন্বয় পরিষদের মো. হাবিবুর রহমান ২ হাজার ৪১২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্য পরিষদের সরোয়ার হোসাইন (লাভলু) পেয়েছেন ১ হাজার ৯৫৯ ভোট।
তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে সমন্বয় পরিষদের অভিজিত ঘোষ ২ হাজার ৩৭৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্য পরিষদের আবদুল জব্বার পেয়েছেন ২ হাজার ১০ ভোট।

এছাড়াও নির্বাহী সদস্যের ১১টি পদের মধ্যে ৬টিতে ঐক্য পরিষদ ও ৪টিতে সমন্বয় পরিষদ ও একটিতে স্বতন্ত্র জয়লাভ করেছে।

গত বছরের নির্বাচনে সভাপতিসহ ৯টি পদে জয় পেয়েছিল ঐক্য পরিষদ। ঐক্য পরিষদ থেকে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদকসহ ১২টি পদে জয়লাভ করেছিল সমন্বয় পরিষদ। সমন্বয় পরিষদ থেকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন এ এস এম বজলুর রশিদ।

নির্বাহী সদস্যের ১১টি পদে নির্বাচিত হয়েছেন- আবদুল্লাহ আল ফাহাদ, ইমরান হোসাইন চৌধুরী, মিথুন দাশ, মো: হাবিবুর রহমান, মো: নাছিমুল আবেদীন চৌধুরী (রাইয়ান), শাহ ইমতিয়াজ রেজা চৌধুরী (নিশান), মো: ফখরুল ইসলাম গালিব, নূর হোসেন, মোহাম্মদ শাকিল, মো: আবু কাউছার (পন্নী), আয়েশা আকতার সানজী।