আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে তৃতীয় দিনের মত অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এসময় মূল্য তালিকা না থাকা, ক্রয়-বিক্রয় রশিদ না রাখার অভিযোগে মদিনা ট্রেডার্সকে ১০ হাজার, আজমির ভান্ডারকে ৩ হাজার, ফারুক ট্রেডার্সকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর সরাসরি ডিও/এসও বিক্রির দায়ে ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজকে ১০ হাজার, দ্বীন এন্ড কোম্পানিকে ৫ হাজার টাকা এবং এলাচের বৃহত্তম আমদানীকারক মেসার্স আবু মোহাম্মদ এন্ড কোম্পানিকে আমদানী মূল্যের তুলনায় অতিরিক্ত মূল্যে এলাচ বিক্রির দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন সহকারী কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আবু বক্কর ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ এর একটি দল।
অভিযানকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, বিভিন্ন আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানের এলসি পর্যালোচনা করে দেখা যায় শুল্কসহ এলাচের দাম কেজি প্রতি সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা হতে পারে, সেখানে পাইকারি বাজারে বিক্রয় হচ্ছে ২৩০০ থেকে ৩০০০ টাকায়। এছাড়াও বেশ কিছু মসলার দাম বেশী আছে বাজারে। আমরা চেষ্টা করছি দাম বাড়ার কারণটি খুঁজে বের করার জন্য। বারবার হাতবদল বা ডিও/এসও বিক্রিও একটি কারণ হতে পারে। আজ সামান্য জরিমানা করা হয়েছে, এরপর আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। পবিত্র রমজান মাসে চট্টগ্রামের বাজারকে কোনভাবেই অস্থিতিশীল হতে দেয়া হবে না। জেলা প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান সামনে আরো বাড়বে।