ন্যাভিগেশন মেনু

চবি সংঘর্ষ : উপাচার্যকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বললেন শিক্ষামন্ত্রী


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে চলমান সংঘাত ও সংঘর্ষের বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের সঙ্গে কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। উপাচার্যকে ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এছাড়া ইতোপূর্বে যারা এ ধরনের সহিংসতায় জড়িয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে এবং ফৌজদারি আইন অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নিতেও অনুরোধ জানান মন্ত্রী। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত অ-ছাত্রদের হল ত্যাগ নিশ্চিত করতে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের নাম ব্যবহার করে যেন দায়ী কোনো ব্যক্তি নিষ্কৃতি না পায়- সে বিষয়ে সচেতন থাকতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী। সেই সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিতে বলেছেন তিনি।

এদিকে, শিক্ষামন্ত্রীর এমন আহ্বানের পর আগামীকাল রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা ডেকেছেন চবি উপাচার্য শিরীণ আখতার। বেলা ১১টার দিকে ওই সভা আহ্বান করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার কে এম নূর আহমদকে নির্দেশ দিয়েছেন উপাচার্য।

উল্লেখ্য, গত ১১ ফেব্রুয়ারি চবির জীববিজ্ঞান অনুষদের সামনে উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের দুই বন্ধুর মধ্যে পূর্ব-শত্রুতা নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সেটি বড় আকারে রূপ নেয়। এরপর দু’দিন চলে সংঘর্ষ-ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। শুক্রবারও (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চবির শাহজালাল ও শাহ আমানত হলের সামনে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক দুটি গ্রুপ সিক্সটি নাইন ও সিএফসি। পরে সন্ধ্যায় শহীদ আব্দুর রব হল সংঘর্ষে জড়ায় শাহ আমানত হলের পক্ষ নিয়ে। থেমে থেমে ৬ ঘণ্টাব্যাপী চলে ওই সংঘর্ষ। এতে তিনজন পুলিশসহ উভয় গ্রুপের অন্তত ৩০ জন গুরুতর আহত বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার।

দিনভর দফায় দফায় এমন সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) তিনটি আবাসিক হলে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। এতে নেতৃত্বে ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম শাখার) আসাদুজ্জামান। সঙ্গে ছিলেন হাটহাজারী ওসি মনিরুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জুয়নুল মিয়া ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার।