ন্যাভিগেশন মেনু

ছাড়পত্র পেলো পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘চিরঞ্জীব মুজিব’


ছাড়পত্র পেয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘চিরঞ্জীব মুজিব’। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) চলচ্চিত্রটির একটি প্রদর্শনী দেখে কোনো ধরনের কাট-ছাঁট ছাড়াই ছাড়পত্র দেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অবলম্বনে ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ নির্মিত হয়েছে। চলচ্চিত্রটির নিবেদক হিসেবে আছেন  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর ছোটবোন শেখ রেহানা।

চলচ্চিত্রটি পরিচালনা, নাট্যরূপ এবং সংলাপ লিখেছেন নজরুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপ সংশোধন এবং পরিমার্জন করেছেন। চিত্রনাট্য রচনা করেছেন জুয়েল মাহমুদ। তিনি চলচ্চিত্রটির সৃজনশীল পরিচালকও।

হায়দার এন্টারপ্রাইজের ব্যানারে নির্মিত ‘চিরঞ্জীব মুজিব’র স্পন্সর হিসেবে আছে সিকদার গ্রুপ, পাওয়ারপ্যাক হোল্ডিংস লিমিটেড ও ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড।

‘চিরঞ্জীব মুজিব’ চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আহমেদ রুবেল। বেগম ফজিলাতুন্নেছা রেণুর চরিত্র রূপায়ন করেছেন পূর্ণিমা এবং বঙ্গবন্ধুর বাবা ও মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন যথাক্রমে খায়রুল আলম সবুজ এবং দিলারা জামান। প্রয়াত এস এম মহসীন, নরেশ ভুঁইয়া, একে আজাদ পাভেল, শতাব্দী ওয়াদুদ, মানস বন্দোপাধ্যায়, আরমান পারভেজ মুরাদ, কায়েস চৌধুরীসহ ৫ শতাধিক নবীন ও প্রবীণ অভিনেতা/অভিনেত্রী এই চলচ্চিত্রের বিভিন্ন চরিত্রে রূপদান করেছেন।

সঙ্গীত আয়োজনে ছিলেন ইমন সাহা, ক্যামেরায় সাহেল রণি এবং শিল্প নির্দেশনা ও পোশাক পরিকল্পনায় ছিলেন প্রয়াত সেলিম আহমেদ। সাবিনা ইয়াসমিন, কুমার বিশ্বজিত, কিরণ চন্দ্র রায়, কোনাল ও নোলক বাবু বিভিন্ন গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। চলচ্চিত্রটিতে গগন হরকরা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম এবং জসীমউদ্দীনের গান ব্যবহার করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৩ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্রটির পোস্টার উদ্বোধন করেন। খুব শিগগিরই দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলিতে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ওআ/