ন্যাভিগেশন মেনু

ঢাকাকে দৃষ্টিনন্দন শহরে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে: এলজিআরডিমন্ত্রী


স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘ঢাকাকে একটি মানবিক ও দৃষ্টিনন্দন শহর হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যার মূল লক্ষ্য বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রয়োজন ও জীবনযাত্রাকে উন্নত করা ‘

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যেই ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) গ্যাজেট প্রকাশ করা হবে। এছাড়া স্থানীয় পরিষদের অধীনে প্রতিটি রাস্তা-ঘাট নির্মাণ কাজের জন্য আলাদা আইডি নাম্বার দেওয়া হবে। এতে কাজের সুষ্ঠু তদারকিসহ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকৌশলীকে সহজে শনাক্ত করা যাবে। প্রতিটি নির্মাণ কাজের আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করা হবে। সময়ের আগে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও প্রকৌশলীকে দায়িত্ব নিতে হবে।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য সুন্দর শহরগুলোর মতো করে ঢাকাকে তৈরি করার সুযোগ নেই। সর্বত্র বহুতল ভবন করে ফেলেছে। ঢাকা শহরে এখন দুই কোটির বেশি মানুষ রয়েছে। যা বিশ্বের জনবহুল দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। কাউকে জোর করে বের করা যাবে না। সেজন্য আমরা গ্রামে সুযোগ-সুবিধা বাড়াচ্ছি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এখন সকল নাগরিক সমান হোল্ডিং ট্যাক্স, বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল দিচ্ছেন। কিন্তু এখন যদি গুলশানে হোল্ডিং ট্যাক্স, বিদ্যুৎ বিল বাড়িয়ে দেই, তাহলে তারা গুলশান কিংবা ধানমন্ডি না থেকে টঙ্গী চলে যাবেন। তাহলে টঙ্গীতেই তার সুবিধা করে দিতে হবে।’

রাজধানী ঢাকাকে একটি পরিকল্পিত নান্দনিক শহরে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১৬-২০৩৫ সাল পর্যন্ত ২০ বছরের জন্য তৈরি করা হয় ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান বা বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ)। ঢাকা ও এর আশেপাশের এরিয়া ধরে মোট এক হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার ভূমি নির্ধারণ করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঠিকভাবে কাজ না করার ক্ষেত্রে আমরাও দায়ী। করোনার মধ্যে সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় কমেছে। তবে এর মধ্যেও ৮০ শতাংশ পৌরসভার বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। এছাড়া পৌরসভাগুলোতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিয়োগ দেওয়া হবে। বিষয়টিতে প্রধানমন্ত্রী রাজি হয়েছেন। এতে সেবা উন্নত হবে।’

তিনি বলেন, ‘জমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে শহরসহ গ্রামেও বাড়ি-ঘর নির্মাণে অনুমতির বিধান করা হচ্ছে। জেলা পরিষদ এবং পৌরসভার আইন পরিবর্তনের কাজ চলছে। জেলা পরিষদের সদস্য কমিয়ে আনার জন্য প্রত্যেক উপজেলা থেকে একজন এবং তিন উপজেলা থেকে একজন মহিলা সদস্য নিয়োগের বিধান রেখে আইন প্রস্তাব করা হয়েছে।’

এমআইআর/ওআ