ন্যাভিগেশন মেনু

তালেবানের হুশিয়ারি, ‘আমরা আপনার মতো কাফিরদের হত্যা করি’


আফগানিস্তানের কাবুলে মহিলাদের একটি বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য মানবাধিকার কর্মী হাবিবুল্লাহ ফরজাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করেছে তালেবানরা। তালেবানরা ফরজাদের বিরুদ্ধে 'ইসলাম'-এর বিরুদ্ধাচরণের অভিযোগ এনেছে। তারা বলেছে, ‘আপনি ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করছেন তাই আমাদের আপনার মতো কাফিরদের হত্যা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’

এনডিটিভি জানায়, গত বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) এই ঘটনা ঘটে। নারী বিক্ষোভকারীরা দেশে আফগান নারীদের সমান অধিকার এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা রাখার দাবি করেন।

তালেবান দেশ দখল করার পর মানবাধিকার কর্মী এবং বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

হাবিবুল্লাহ ফরজাদ বলেন, 'তারা আমার হাত পেছনে বেঁধে নির্মমভাবে মারতে শুরু করে। আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে আমি প্রায় এক ঘন্টা পরে জেগে উঠি।'

তিনি আরও বলেন, 'তারপর তারা আমাকে অন্য কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে সাংবাদিকসহ আরও আটক ব্যক্তি ছিল।'

আফগানিস্তানে তালেবানদের দ্বারা কোনো কর্মীকে অপহরণ ও গণপিটুনির ঘটনা এটিই প্রথম নয়। কাবুল পতনের পর থেকে এই গোষ্ঠী তাদের সংগঠনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন এমন মানবাধিকার কর্মী এবং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে।

এক সপ্তাহ আগে, আরও এক মানবাধিকার কর্মী এবং সাংবাদিক সায়রা সেলিম, যিনি এর আগে তালেবানদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন, তিনি জানিয়েছিলেন যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যরা তাকে খুঁজছে।

সায়রা সেলিম নিউইয়র্ক পোস্টকে আরও জানান, চার রাত আগে ছয়জন তালেবান সদস্য তার বাড়িতে এসে দরজায় কড়া নাড়ছিল। যখন সে তার বিছানার নিচে লুকিয়েছিলেন। যোদ্ধারা তার বাবাকে তার অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল। তিনি তাদের বলেছিলেন যে, তার মেয়ে বাড়িতে নেই।

তালেবানের দখলের পর আফগানিস্তানে বর্বরতার সাম্প্রতিক দৃশ্য যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে মানবাধিকারের বিধ্বংসী অবস্থা উন্মোচন করেছে।

আফগানিস্তানের বর্তমান বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি, চারদিকে বন্দুকধারী ব্যক্তিদের উপস্থিতি সমগ্র জনগোষ্ঠীকে অবরোধের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। জনগণের চলাচল সীমিত করা হয়েছে যা দেশে মানবাধিকার লংঘনের সবচেয়ে মৌলিক অনুপস্থিতি প্রদর্শন করে। সূত্র: এনডিটিভি

এডিবি/