ন্যাভিগেশন মেনু

দিনাজপুর সদর উপজেলায় আরও ৭ দিনের কঠোর লকডাউন


দিনাজপুরে করোনার সংক্রমণ রোধে ৭ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের রবিবার ছিল শেষ দিন। এর মধ্যে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী থাকায় সদর উপজেলায় ৭ দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি।

এর ফলে মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকাল ৬টা থেকে রবিবার (২১ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বহাল থাকবে। গতকাল রবিবার (১৩ জুন) দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় হলরুমে করোনা প্রতিরোধ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অনলাইনে যুক্ত হন স্থানীয় সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নুরুল ইসলাম।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, লকডাউনের সময় জরুরি পণ্যসেবা ব্যতীত অন্য সব দোকানপাট ও যান চলাচল বন্ধ থাকবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কাঁচাবাজার ও মুদিখানা খোলা রাখা হবে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। উপজেলা থেকে যাত্রীবাহী কোনো গাড়ি এমনকি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ঢুকতে বা বের হতে পারবে না। তবে স্বাস্থ্যসেবা ও গণমাধ্যমকর্মী, রোগী ও অন্য জরুরি সেবাদানকারীর ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধ প্রযোজ্য হবে না। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ   মুখে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দেওয়ার সিদ্ধান্তও জানানো হয়।

সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ শেষে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, ‘৭ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে এবং সেই সঙ্গে মৃত্যুর হারও বেড়েছে। মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমরা লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে জেলায় নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা থাকবে। খাদ্যসংকটে পড়লে জরুরি সেবা নম্বরে ফোন করে জেলা প্রশাসন থেকে খাদ্যসহায়তা পাওয়া যাবে।’

ব্যবসায়ীদের উদ্দশ্যে তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছুটা ক্ষতি শিকার করতে হবে। প্রয়োজনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য সরকারি প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে।’ এদিকে জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২০০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ০৪ শতাংশ। মারা গেছেন একজন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা ১৪৪।

এর আগে ৭ জুন করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলা করোনা কমিটি এক জরুর বৈঠকে জেলায় ৭ দিনের কঠোর বিধি     নিষেধ জারি করা হয়েছিল।

এ এস/এমআইআর/ওআ