ন্যাভিগেশন মেনু

দিল্লিতে পুলিশের সাথে কৃষকদের ব্যাপক সংঘর্ষ, নিহত ১


ভারতীয় প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে ঢুকতে গিয়ে পুলিশের সাথে ব্যাপক লড়াই হয়েছে কৃষি সংস্কারের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত কৃষকদের। ‘নতুন বাজার বান্ধব’ সংস্কারের বিরুদ্ধে হাজার হাজার কৃষকরা ট্রাক্টর চালিয়ে শহরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। কয়েকটি জায়গায় কৃষকরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে ফেলে এবং তাদের জন্য নির্ধারিত রুটে না গিয়ে অন্য দিকে এগিয়ে যায়। খবর বিবিসি’র।

এদিকে মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে দিল্লির মিন্টো রোডে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন কৃষক নিহত হয়েছেন।  ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, নিহত ব্যক্তিকে ট্রাক্টরের নিচে পিষ্ট অবস্থায় দেখা যায়। তবে বিক্ষোভকারীরা দাবি করছেন পুলিশের গুলিতেই ওই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

ভারতের ইতিহাস অন্যতম দীর্ঘ এই কৃষক আন্দোলন চলছে প্রায় এক মাস ধরে। সরকার প্রস্তাবিত আইনটি আপাতত স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছে কিন্তু কৃষকরা বলছে তারা আইনটির বাতিল চায়। এর আগে দিল্লির সীমান্তে প্রায় দু মাস অবস্থান ধর্মঘট করেছিলো কৃষকরা।

কয়েকদফা আলোচনার পর পুলিশ আজকের সমাবেশের অনুমতি দিয়েছিলো এই শর্তে যে তারা কোনোভাবেই প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের বিঘ্ন ঘটাবে না। দিল্লির ছয়টি প্রবেশপথ থেকে কর্মসূচি শুরুর কথা ছিলো কৃষকদের কিন্তু পুলিশ এর সবগুলোই অবরোধ করে রেখে কর্মসূচি পালনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট রুট ঠিক করে দেয়।

কিন্তু সিঙ্গুর, টিকরি ও গাজিপুর -এই তিনটি জায়গায় কৃষকরা ব্যারিকেড ভেঙ্গে, পায়ে হেঁটে ও ট্রাক্টরে করে মিছিল শুরু করে। ‘মোদীকে অবশ্যই এই কালো আইন ফিরিয়ে নিতে হবে,’গাজিপুর সীমান্তে একজন কৃষক বলছিলেন বিবিসিকে।

তিনি বলেন কৃষকরা সবাই সীমান্ত অতিক্রম করে দিল্লি অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান চলায় পুলিশের সাথে কৃষকদের আরও সংঘর্ষ হতে পারে। বার্ষিক প্যারেডে সশস্ত্র বাহিনী তাদের সর্বশেষ যুদ্ধ উপকরণ প্রদর্শনের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্য তাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে তুলে ধরছে।

তবে করোনা মহামারির কারণে এবারের আয়োজনকে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। যে আইন নিয়ে কৃষকরা এতো বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাতে কৃষিকে উন্মুক্ত বাজার ব্যবস্থার আওতায় নেয়া হয়েছে আর এটিই কৃষকদের ক্ষুব্ধ করেছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদৗ এবং তার বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার সংস্কারের পক্ষে।

ওআ/