ন্যাভিগেশন মেনু

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা বুধ অথবা বৃহস্পতিবার


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা বুধবার সন্ধ্যায় অথবা বৃহস্পতিবার করতে যাচ্ছে। আগামীকাল বুধবার বিকেল ৫টায় তফসিলের বিষয়ে বৈঠকে শেষে বুধবার অথবা বৃহস্পতিবার সরাসরি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন থেকে জানা যায়, সংবিধান অনুযায়ী সংসদের ৫ বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বর্তমান সংসদের মেয়াদ ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি শেষ হবে। এক্ষেত্রে ৯০ দিনের গণনা শুরু হয়েছে গত ১ নভেম্বর থেকে।

উল্লেখ্য যে, বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর  বৃহস্পতিবার দুপুরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত করার পর বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে নির্বাচন কমিশন সাংবাদিকদের বলেন, "দ্রুত আমরা তফসিল ঘোষণা করা হবে, কারণ সময় হয়ে গেছে। আর নির্বাচনের ব্যপারে আমরা বলেছি, প্রথম সপ্তাহে বা দ্বিতীয় সপ্তাহে, আমরা এখনও ওই অবস্থায় আছি‘’ বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল।

এদিকে , এদিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২৪ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ১৫৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। হয়তো দু-একদিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দেবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেছে ইসি। এ তালিকা অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে। এ নির্বাচনে ভোট দেবেন ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার।

দেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন, নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৫২ জন।

এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলো চাহিদা দিয়েছে এক হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে এটা পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেবে কমিশন। সবচেয়ে বেশি চাহিদা পুলিশ ও আনসার থেকে এসেছে।

তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনের জন্য সব মিলিয়ে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা। এই ব্যয়ের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ রাখা হয়েছে আইন-শৃ্খৃলা রক্ষায়, আর এক তৃতীয়াংশ রাখা হয়েছে নির্বাচন পরিচালনার পেছনে।