ন্যাভিগেশন মেনু

নতুন নির্বাচন দাবিতে সন্দ্বীপ সোসাইটির মামলা খারিজ


সন্দ্বীপ সোসাইটির নির্বাচন বাতিলের দাবিতে দায়েরকৃত মামলা খারিজ করে দিয়েছেন নিউইয়র্কের কিংস কাউন্টি সুপ্রিম কোর্ট।

বিচারপতি রিচার্ড ভ্যালেস্কুয়েজ কর্তৃক ৪ মে স্বাক্ষরিত এই রায়ের কপি ৭ মে বৃহস্পতিবার পাবার পর সোসাইটির সর্বস্তরের সদস্য-কর্মকর্তার মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

‘মামলাটি খারিজ হওয়ায় সন্দ্বীপ সোসাইটির নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার জয়ধ্বনি উচ্চারিত হলো। প্রবাসের সকল আঞ্চলিক সংগঠনের নির্বাচনের ইতিহাসে তা মাইলফলক হয়ে থাকবে’-মন্তব্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুস্সাফার।

উল্লেখ্য, মামলায় নূরুস্সাফার বিরুদ্ধে কারচুপি, অনিয়মসহ স্বৈরাচারি আচরণের গুরুত্ব অভিযোগ করা হয়েছিল। ‘কিন্তু বারবার তারিখ নিয়েও এসব অভিযোগের পক্ষে কোন ডক্যুমেন্ট সাবমিট করতে ব্যর্থ হন বাদিপক্ষ। এজন্যেই বিজ্ঞ আদালত মামলাটি খারিজ করে দিলেন’-উল্লেখ করেন সোসাইটির নির্বাচন কমিশনের প্রধান নুরুস্সাফা।

এ কমিশনের অপর চার সদস্য ছিলেন মোহাম্মদ এম সুজন, লুৎফুল করিম, সাঈদ এ হোসেন এবং মোহাম্মদ তোহা।

মামলার বাদি ছিলেন এ কে মিয়া (হানিপ), ইদ্রিস আলম, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। মামলায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ, ফলাফল ঘোষণায় প্রতারণা, সংগঠনের রীতি অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠান না করাসহ যেসব অভিযোগ করা হয়েছিল, তার একটিও ধোপে টেকেনি অর্থাৎ এসব অভিযোগের পক্ষে কোন ডক্যুমেন্ট সাবমিট করতে সক্ষম না হওয়ায় মামলা খারিজের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। 

এ প্রসঙ্গে সন্দ্বীপ সোসাইটির নির্বাচন কমিশনের প্রধান নূরুস্সাফা এ সংবাদদাতাকে আরও বলেন, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা অবলম্বন করেছি নির্বাচন অনুষ্ঠানে।

‘অনেক ব্যালট অ্যাসোসিয়েশন’র মেশিনে ভোট গ্রহণের আগে সকল পোলিং অ্যাজেন্ট তা পরখ করেছেন। ভোট গ্রহণের পরও নির্বাচন কমিশনের সকল সদস্য এবং পোলিং অ্যাজেন্টের স্বাক্ষর নিয়ে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

অতিরিক্ত মেশিন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যায় ভীড় বেড়েছিল অনেক, বাইরে তখন প্রবল হিমেল হাওয়া থাকায় সকলকে ভোট কেন্দ্রের ভেতরে লাইনে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করেছি। একইসাথে নির্দ্ধারিত সময়ে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করার স্বার্থে ‘ডামি মেশিন’ হিসেবে সেখানে থাকা মেশিনেও ভোট নেওয়া হয় পোলিং অ্যাজেন্ট এবং নির্বাচন কমিশনের সম্মতি সাপেক্ষে।’ ডক্যুমেন্টসহ সবকিছু মাননীয় আদালতে সাবমিট করেছি বলেই বাদিপক্ষের অভিযোগ ধোপে টেকেনি। অর্থাৎ সত্যের জয় হলো-উল্লেখ করেন নুরুস্সাফা। রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনের নির্বাচিতরা দায়িত্ব পালনে আর কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকবেন না। 

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ নভেম্বর বিপুল উৎসাহে এবং শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে জয়ী হন ‘পান্না-আলাউদ্দিন’ প্যানেলের প্রার্থীরা। নির্বাচনী ফলাফলের ভিত্তিতে তারা সকলে ৬ ডিসেম্বর শপথ গ্রহণ করার পরই উপরোক্ত মামলার উদ্ভব হয়েছিল। এমনকি, সোসাইটির উপদেষ্টা পরিষদ এবং বোর্ড অব ট্রাস্টির মধ্যেও মামলা নিয়ে বিভক্তির রেখা বিস্তৃত হয়েছিল।

নির্বাচিত কার্যকরী কমিটির কর্মকর্তারা হলেন - সভাপতি-আব্দুল হান্নান পান্না, সিনিয়র সহ-সভাপতি-হেলালউদ্দিন, সহ-সভাপতি-ইসলাম সাহাবউদ্দিন, মোহাম্মদ কাশেম এবং ফসিউল আলম, সাধারণ সম্পাদক-এ এস এম আলাউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-মেজবাউদ্দিন মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক-কাওসার সর্দার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক-শফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ-আমজাদ হোসেন, সহ-কোষাধ্যক্ষ-রিদওয়ানুল বারি, সমাজকলাণ ও বিনোদন সম্পাদক-মাইনুদ্দিন আহমেদ আরিফ, শিক্ষা ও সাহিত্য সম্পাদক-ওমর ফরিদ বাবর, ক্রীড়া ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক-জাহাঙ্গির আলম সোহেল, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সম্পাদক-এইচ এম ইসলাম, প্রচার সম্পাদক-এ আজাদ সেলিম, দফতর সম্পাদক-সাফায়েত হোসেন, মূলধারা ও আইন বিষয়ক সম্পাদক-মাইনউদ্দিন দিদার, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক-মনির উদ্দিন। নির্বাহী সদস্যরা হলেন : জাফর ইসলাম, সানাউল্লাহ বাবুল, নিজামুল হায়দার, জহিরউদ্দিন বাবর, আমির ইসলাম, মো. ইলিয়াস লি্কংন, মোহাম্মদ কিবরিয়া, সালেহউদ্দিন টুটুৃল, সাইফুল হামিদ দুলাল, মেরাজুল আমিন ইব্রাহিম, আব্দুল হালিম,  এমডি ওমর ফারুক, আব্দুল করিম ভুট্টো, সিরাজুৃল মাওলা কপিল, জিয়াউল ইসলাম, সুমন আবেদীন। 

এডিবি/