ন্যাভিগেশন মেনু

নতুন ব্যবসায় ফারিয়া শাহরিন


ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন। ২০০৭ সালে ‘লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার’ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হওয়ার পর তিনি শোবিজে ঢুকে পড়েন। প্রথমে বিজ্ঞাপনে এবং পরে নাটকে অভিনয় শুরু করেন। তার দেখা মিলিছে রুপালি পর্দায়ও।

তারপর তিনি বেশ আলোচনায় এসেছেন ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর তৃতীয় সিজনে অভিনয় করে। কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত এ নাটকে ‘অন্তরা’ চরিত্রে তাকে দেখতে পেয়েছে দর্শক।

এবার অনলাইনে প্রসাধনী পণ্য বিক্রি শুরু করেছেন এই লাক্স তারকা।

বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন ফারিয়া। সেখান থেকে ভালো মানের প্রসাধনী পণ‌্য এনে ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেবেন তিনি। সেখান থেকে ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিজের নতুন ব্যবসার খবর জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

ফারিয়া লিখেছেন, ‘ম্যাকের পণ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করলাম। আমরা সবাই কম বেশি ম্যাকের পণ্য ব্যবহার করি। তাই ম্যাকের পণ্য দিয়েই বিসমিল্লাহ্‌ করতেছি। ম্যাকের কোন পণ্য লাগবে সেটা আমাকে ইনবক্সে জানাতে পারেন। আপনার কাছে ছবি থাকলে সেটাও পাঠাতে পারেন। অথবা আপনার নম্বর পাঠিয়ে দিতে পারেন। শতভাগ নিশ্চিত হয়েই ইনবক্সে যোগাযোগ করবেন। আপনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমি পণ্যের ডিটেইলস পাঠিয়ে দিবো, পণ্যটি পেতে এডভান্স করতে হবে।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আজাইরা গ্যাঁজানোর জন্য কেউ ম্যাসেজ দিবেন না। আশা করি সবাই আমাকে সহযোগিতা করবেন। নোংরা মানসিকতার মানুষদের বাজে মন্তব্য থেকে বাঁচতে কমেন্ট অপশন বন্ধ রাখা হয়েছে। তাই পণ্য নিতে চাইলে ইনবক্সেই যোগাযোগ করুন। সেপ্টেম্বরের শেষে পণ্য ডেলিভারি দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ। কাজটি নিয়ে আমি খুবই উচ্ছ্বসিত। সবার দোয়া ও প্রেরণা চাই।’

খানিকটা স্পষ্টভাষী ফারিয়া শাহরিন। বিভিন্ন বিষয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের মতবাদ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহসী ছবি দেয়া নিয়ে প্রায়ই ট্রোলড হতে হয় এই সুন্দরীকে। শুধু তাই নয়, মাঝে মাঝে অনেকেই আপত্তিকর প্রশ্ন করেন তাকে।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফারিয়া জানিয়েছিলেন, ‘মাঝে মাঝে মনে হয় মিডিয়ায় যদি না আসতাম তাহলে কি কারো সাহস হতো আমাকে গালি দেয়ার? কোনো নষ্টামি, ভন্ডামি লুচ্চামি না করেও দিন শেষে শুনতে হয় চামড়া বেচতে গেছিস বিদেশ, কত টাকা কামাইলি? কার ফ্ল্যাটে উঠলি? প্রতি রাতের রেট কত? মদ থাকলে সরিয়ে ফেল, কার কার বিছানা গরম করলি?’

তিনি আরও জানান, ‘অনেক সেলিব্রেটি হয়তো এসব ইগনোর করতে পারেন কিন্তু আমি পারি না। রক্ত উঠে যায় মাথায়। এই যে এতোগুলো বছর ভালো থাকলাম, এতো অনেস্ট থাকলাম। কত মানুষ কত টাকার লোভ দেখাল, নিজেকে তাও কন্ট্রোল করলাম। দিনশেষে কি পেলাম আমি, মা... নামক একটা উপাধি। আর কিছু না। খুব কষ্ট হয়, কিছু মানুষের জন্য মানুষের এইভাবে কথা বলার সাহস হয়। কত অসহায় আমরা।’

ওআ/