ন্যাভিগেশন মেনু

নিজেই পোস্টার অপসারণ মাধ্যমে গ্রীন মিরসরাই যাত্রা শুরু করলেন নবনির্বাচিত রুহেল


দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনের নৌকা প্রতীকের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মাহবুব-উর রহমান রুহেল নিজেই পোস্টার অপসারণ মাধ্যমে গ্রীণ মিরসরাই বাস্তবায়নে কার্যক্রম শুরু করলেন।

তিনি বলেন, নিজের এলাকার উন্নয়নে কথায় নয়, কাজে প্রমাণ করবো। পোস্টার অপসারণের মাধ্যমে গ্রীন মিরসরাই ও স্মার্ট মিরসরাই কাজ শুরু করলাম।

মঙ্গলবার সকালে নিজের সংসদীয় এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং পরিবেশ সংরক্ষণে নির্বাচনি পোস্টার অপসারণ শুরু করলেন। 

চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনে নৌকার প্রার্থী মাহবুব রহমান রুহেল ১৬ ইউনিয়ন, দুই পৌরসভায় ১৬২ টি ওয়ার্ডে প্রায় ১৭০টি উঠান বৈঠক করেছেন গত ১৮ দিনে। উঠান বৈঠকে মাধ্যমে লক্ষাধিক লোকের সরাসরি সংস্পর্শে গিয়েছেন তিনি। ভোটের মাঠে তার উঠান বৈঠকগুলো নীরব বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছে মনে করছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। 
 
তিনি নির্বাচিত হওয়ার পরেরদিন সমগ্র মিরসরাই পরিভ্রমণ করে সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।  যেই কথা সেই কাজ সকাল হতে ঘুরে ঘুরে নিজেই পোস্টার অপসারণ শুরু করলেন।  এ নিয়ে তার ফেসবুক পোস্টে এই কাজ যুক্ত হওয়ার জন্য সবাইকে আহবান জানান। 

জানা যায়, সম্ভবত চট্টগ্রাম ১ মিরসরাই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহবুব রহমান রুহেলই একমাত্র ব্যক্তি যিনি পোস্টারে প্লাস্টিকের কাভার লাগান নাই। নেতাকর্মীরা তাকে অনেক জোরাজোরি করলেও তিনি তাদেরকে পরিবেশের সুরক্ষার কথা বারবার মনে করিয়ে দেন। তার ঘোষিত ২২ দফা ইশতেহারের ৫ নম্বর কলামে গ্রীন মিরসরাই বাস্তবায়ন কথা বলা আছে। তিনি তা নিজেই দেখিয়ে দিলেন। ইশতেহারে বাস্তবায়নের সক্ষমতা নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে মিরসরাই এলাকার জনসাধারণ।

রুহেল বলেন, ‘পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়টি মাথায় রেখে আমার নির্বাচনি প্রচারণায় ব্যবহৃত পোস্টার লেমিনেশন করা কিংবা প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়নি।  তবে কুয়াশা থেকে রক্ষার জন্য কিছু কিছু নেতাকর্মী প্লাস্টিক কভারযুক্ত পোস্টার ব্যবহার করেছেন। নির্বাচনের পর এলাকার সৌন্দর্যরক্ষা, পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে আমার যতগুলো পোস্টার নজরে এসেছে আমি অপসারণ করেছি এবং নেতাকর্মীদের দিয়ে অপসারণ করিয়েছি।

তিনি বলেন, তরুণদের কর্মসংস্থান বাড়ানো উদ্যোগ নেয়া হবে। মিরসরাই গড়ে উঠছে এশিয়ার সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এখানে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এতে এলাকার জনগন এখানকার সুফল ভোগ করবেন। অর্থনৈতিক অঞ্চলে চাকরীর জন্য আমি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করবো। যাতে দক্ষ হয়ে যুবকেরা এখানে চাকরী পেতে পারে। সবাই মিলে আমরা আজকের কাজের মাধ্যমে স্মার্ট মিরসরাই বাস্তবায়নে যাত্রা শুরু হলো। মিরসরাইতে টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয় এবং টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নিবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।