ন্যাভিগেশন মেনু

বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি


মির্জা কাদের ও বাদল, এই দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির ঘোষণাকে ঘিরে নোয়াখালী বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পৌরসভার সর্বত্র ১৪৪ ধারার এ আদেশ কার্যকর থাকবে বলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক মীর স্বাক্ষরিত এক আদেশে জানানো হয়।

১৪৪ ধারা জারিকালীন সময়ে সব ধরনের সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এর আগে রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকেই বসুরহাট বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ইতোমধ্যে জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

এনিয়ে বসুরহাট পৌর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়াজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে।

এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, তারা জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে দোকানপাঠ বন্ধ রেখেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বসুরহাট পৌর এলাকার গাছের গুড়ি, ইট পাটকেল দিয়ে বিভিন্ন প্রবেশ পথ আটকে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার সহকারী সিরাজুল ইসলাম জানান, আবদুল কাদের মির্জা আওয়ামী লীগ অফিসে বিশ্রাম নিচ্ছেন।

অন্যদিকে মিজানুর রহমান বাদলকে ফোন করলে তার মেয়ে ফোন রিসিভ করে বলেন, পরে কলব্যাক করবেন।

এর আগে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যার বিচার দাবিতে সোমবার বেলা আড়াইটায় বসুরহাট পৌর সভার রূপালী চত্বরে শোকসভা আহ্বান করে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

একই স্থানে বিকেল ৩টায় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়ে রাখেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল।

গত শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে বসুরহাট বাজারের রূপালী চত্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের নিয়ে সমাবেশের আহ্বান জানিয়েছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল। জানানো হয়েছিলো, আবদুল কাদের মির্জার ‘মিথ্যাচারে’র প্রতিবাদে এই সমাবেশ করা হবে। পরে আবদুল কাদের মির্জাও সোমবার একই স্থানে দোয়া মাহফিলের ঘোষণা দেন।

এ ব্যপারে জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, কাউকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করতে দেওয়া হবে না। কোথাও সরকারি আদেশ অমান্য করে সভা-সমাবেশ করার চেষ্টা হলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর হবে।

মূলত শুক্রবার দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের নিহতের ঘটনায় পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হামলার জন্য পরস্পরকে দায়ী করতে থাকে দু'পক্ষ। মুজাক্কির হত্যার বিচার চেয়ে রবিবার মানববন্ধন করেন সাংবাদিকরা।

ডিএ/ ওয়াই এ/এডিবি