ন্যাভিগেশন মেনু

বাঁশখালীতে হত্যাকাণ্ডের বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের


চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রে গুলিতে নিহত সাত শ্রমিক হত্যার বিচার ও ওই পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দাবি করে ঢাকার চিনা দূতাবাসে স্মারকলিপি দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সংগঠনটি চিনে সংখ্যালঘু উইঘুর হত্যা বন্ধেরও দাবি জানিয়েছে স্মারকলিপিতে।

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এ দাবিতে প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে । এরপর চিন দূতাবাস অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন সংগঠনের নেতারা। কিন্তু শাহবাগে তাদের আটকে দেয় পুলিশ।

পরে পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলকে চিনা দূতাবাসে  নিয়ে যায়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন ভাস্কর শিল্পী রাশা, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন ও সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ।

চিনের প্রেসিডেন্ট বরাবর দেওয়া স্মারকলিপি গ্রহণ করেন গুলশান ডিপ্লোমেটিক জোনের উপ পুলিশ কমিশনার আশরাফুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ১৭ এপ্রিল বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপ ও চিনের দুই প্রতিষ্ঠান সেপকো থ্রি পাওয়ার কনস্ট্রাকশন করপোরেশন এবং এইচটিজি ডেভেলপমেন্ট গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্রে আন্দোলন করতে গিয়ে গুলিতে সাত শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১২ জন। কিন্তু আজও সেই পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। এমনকি এ হত্যাকাণ্ডের বিচারেরও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পাল্টা শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

এসময় চিনের সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর ধারাবাহিক নির্যাতন এবং বাঁশখালীতে চিনা কোম্পানির প্রকল্পে শ্রমিক হত্যা ও নির্যাতন একই সূত্রে গাঁথা বলে মন্তব্য করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতারা।

এস এস