ন্যাভিগেশন মেনু

বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন


বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপিত হয়েছে।

শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে এ উপলক্ষে ঢাকাস্থ বাংলাদেশ বেতার ভবনে সূবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান জুম অ্যাপে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধরে রেখেই বেতারের অনুষ্ঠানমালা তৈরী করতে হবে। দেশপ্রেম নিয়ে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নতুন প্রজন্ম যাতে গড়ে ওঠতে পারে সে ব্যাপারেও বেতারকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আকাশ সংস্কৃতি, ধর্মীয় অপব্যাখা, ইন্টারনেটে নানা ধরণের বিভ্রান্তিকর তথ্য একটি সুন্দর সমাজ গঠনের অন্তরায়। তাই এসব গুজব, অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে সচেতন করতে অন্যান্য গণমাধ্যমের সাথে তিনি বেতারকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

খুলনা বেতার প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ। ঢাকা প্রান্ত থেকে জুমে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া।

জুম অ্যাপে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদার।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ বশির উদ্দিন।

সূবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ঢাকা ও খুলনা প্রান্তে বেতারের কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিল্পী, কলা-কৌশলীরা অংশগ্রহণ করেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৭০ সালের ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বেতার খুলনা, মহানগরীর উপকন্ঠে গল্লামারীতে বর্তমানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে যাত্রা শুরু করে। মাত্র ১০ কিলোওয়াট শক্তিসম্পন্ন ট্রান্সমিটার দিয়ে যাত্রা শুরু করে খুলনা বেতার দ্রুত এ অঞ্চলের মানুষের মন জয় করে নেয়।

১৯৮১ সালের ২৮ এপ্রিল ১০০ কিলোওয়াট ট্রান্সমিটার সংযোজনের মাধ্যমে এ কেন্দ্রটি বাংলাদেশসহ ভারতে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের শ্রোতাদের হৃদয় জয় করা অনুষ্ঠান প্রচার করছে।

গৌরবের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার, খুলনা করোনা মহামারির কারণে সীমিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।  সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত স্টুডিওভিত্তিক বিশেষ সাংস্কৃতিক  অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে।

একেএইচ/ ওয়াই এ/এডিবি