কোরিয়া বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশের তৈরী পোশাক খাতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে।
বাংলাদেশের পাওয়ার ও অবকাঠামো উন্নয়নে অধিক বিনিয়োগ করতে চায়। গত ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে বাংলাদেশ কোরিয়ায় রপ্তানি করেছে ২৫৪.৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে আমদানি করা হয়েছে ১২৪০.৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
এ বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে উভয় দেশ একমত। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
আগামী ১৩-১৫ জুলাই কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১০০জন ব্যবসায়ী নিয়ে বাংলাদেশ সফর করবেন। এ সময় বাংলাদেশে কোরিয়ার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে কোরিয়ার বিনিয়োগকারীগণ লাভবান হবেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী এদিন ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হু কং ইল এর সাথে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ীক অংশিদার। বাংলাদেশে কোরিয়ার অনেক বিনিয়োগ ও বাণিজ্য রয়েছে। কোরিয়ান বিনিয়োগের জন্য চট্রগ্রামের আনোয়ারায় কেইপিজেড বরাদ্দ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন :
'রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা চলছে' : টিপু মুনশি
সেখানে কোরিয়ান বিনিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। কোরিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ব্যবধান কমিয়ে আনতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হবে।
কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ কোরিয়ার দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ীক অংশীদার এবং ভালো বন্ধু রাষ্ট্র।
কোরিয়া বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। অনেক কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ব্যবসা করছে। কোরিয়ার তৈরী অনেক পণ্যের চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশে। বাং
বাংলাদেশে কোরিয়া বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করবে। কোরিয়া বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পে অনেক কাজ করেছে, এখনো করছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বাংলাদেশ খুবই ভালো স্থান। কোরিয়ান বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) তপন কান্তি ঘোষ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এসএস