ন্যাভিগেশন মেনু

বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ


বর্তমান অর্থনৈতিক বিকাশ অব্যাহত থাকলে ২০৩৩ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৫তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে বাংলাদেশ। বর্তমানে ৪১তম অবস্থানে রয়েছে।

ব্রিটেনের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনোমিক অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর) তাদের সর্বশেষ এক প্রতিবেদনে এমনি পূর্বাভাস দিয়েছে।

সংস্থাটির প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, নির্দিষ্ট ওই সময়ের মধ্যে ৮৫ হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারে পরিণত হবে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার। যা কিনা ২০২০ সালে রয়েছে ৩০ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের।

সিইবিআর সংস্থাটি সাধারণ প্রতিবছর তাদের বিশ্ব অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ ২৬ ডিসেম্বর প্রকাশ করে। এবারের প্রতিবেদনে বিশ্বের ১৯৩টি দেশের অর্থনৈতিক সমাচার তুলে ধরেছে সংস্থাটি।

সংস্থাটি এবারের প্রতিবেদনে বলছে, নোভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পরও বাংলাদেশের অর্থনীতি গুটিয়ে পড়বে না। চলতি বছর দেশটির মোট জিডিপি (দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে আসবে। এই জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ২০১৯ সালে ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।

সংস্থাটি আরও বলছে, বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার পাঁচ বছরে গড়ে ১ শতাংশে থাকার পরও করোনাভাইরাসের মহামারিতে এবার দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি একটি শক্তিশালী হারের দেখা পাবে।

সিইবিআর সদ্য প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে অতিক্রম করে বৈশ্বিক অর্থনীতির বিশাল জায়গা দখল করে নিবে চিন। যা কিনা এর আগের ধারণা থেকে দ্রুত গতিতে উত্থান হচ্ছে চিনের আগের ধারনা মতে, চিনের এই অবস্থানে আসতে সময় লাগবে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত। কিন্তু দেশটি তাদের দক্ষ পরিচালনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের তুলনায় অনেক আগেই প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে ভারতও দ্রুত এগিয়ে যাবে।

২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতিতে রূপ নেবে দেশটি। এর আগ পর্যন্ত তৃতীয় বৃহত্তম তালিকায় জাপানই থাকবে। ভারতের অবস্থানে জার্মানি চতুর্থ থেকে চলে যাবে পঞ্চম অবস্থানে। ২০৩৫ সালে পাকিস্তান থাকবে ৩৬তম অর্থনীতির অবস্থানে। এদিকে অনেক আগেই অর্থাৎ ২০২৪ সালের মধ্যে এক ধাপ পিছিয়ে বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহৎ অর্থনীতির অবস্থানে থাকবে যুক্তরাজ্য।

ওআ/