ন্যাভিগেশন মেনু

মধ্যপ্রদেশে বিয়ের মাধ্যমে ধর্মান্তর বন্ধে আইন


ভারতের মধ্যপ্রদেশে বিয়ের মাধ্যমে হিন্দু নারীদের ইসলাম গ্রহণ বন্ধে আইন পাস করতে যাচ্ছে।

বিয়ের মাধ্যমে কাউকে ধর্মান্তরিত করার প্রমাণ পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে এ আইন পাস করা হবে বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।

বিধানসভায় এই প্রস্তাব পাস হলে মধ্যপ্রদেশ হতে যাচ্ছে দেশটির দ্বিতীয় রাজ্য, যেখানে অন্য ধর্মের মধ্যে বিয়ে নিষিদ্ধ। গত মাসে উত্তরপ্রদেশে প্রথম এ আইন পাস করা হয়। ওই রাজ্যেও ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি।

মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদে ইতোমধ্যে প্রস্তাবটি পাস হয়েছে। চলতি মাসের যেকোনো দিন এটি বিধানসভায় উত্থাপন করা হবে।

প্রস্তাবে বলা হয়, ‘ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ে করতে চাইলে দু’মাস আগে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবেদন মঞ্জুর করলেই কেবল বিয়ে করতে পারবে ইচ্ছুক নর-নারী। যদি অনুমতি ছাড়া বিয়ে করে, তাহলে ওই সম্পর্কের আইনি কোনো ভিত্তি থাকবে না।’

প্রস্তাবিত আইনে জোর করে ধর্মান্তরিত করার জন্য বিয়েকে ব্যবহারের প্রমাণ পেলে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ধর্মান্তরিত করার জন্য ঘটিত আন্তঃবিয়েতে সহযোগীতাকারীদেরও শাস্তির আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে।

বিজেপির নেতারা বলেন, অপ্রমাণিত ষড়যন্ত্রতত্ত্ব হলো - মুসলমান পুরুষরা হিন্দু নারীদের বিয়ের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত করছে।

বিজেপি নেতা চৌহান বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক নিরাপরাধ কিছু মেয়েকে উদ্ধার করা হয়েছে। এটা আমরা চলতে দিতে পারি না।

ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানে সব ধর্ম বিশ্বাসের অনুসারীদের সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির লাভ জিহাদ ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং তাদের কট্টর মতবাদ সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতাকে সংকটে ফেলেছে।

সিবি/এডিবি