ন্যাভিগেশন মেনু

রাউজানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ছে ৩ বসতঘর, ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি নাশকতা


চট্টগ্রামের রাউজানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৩ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। এতে ২৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো। শুক্রবার ভোর রাতে উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের দলইনগর গ্রামের জাহেদ মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, শুক্রবার ভোর রাতে এই বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে এসে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। 

ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন মোহাম্মদ ইমম, আব্দুল মালেক, আব্দুর রশিদ। ক্ষতিগ্রস্ত ইমনের মা বলেন, শুক্রবার ভোর রাতে বিকট শব্দ হলে আমার ছেলে ঘুম থেকে আমাকে ডাক দেন। সময় পরিবারের সদস্যরা ঘুমন্ত অবস্থায় থেকে উঠে দেখি ঘরে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। ঘরে আগুন দেখতে পেয়ে কোন রকমে নিজেদের প্রাণ রক্ষা করে বাইরে বেরিয়ে এসে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের বাড়ি থেকে লোকজন ছুটে এসে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। তাঁর ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন৷ এই আগুনে আমার ঘরে থাকা ৬০ হাজার টাকা, ১০ভরি স্বর্ণ অলংকারসহ সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ১৫ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, এটি পরিকল্পিতভাবে কেউ আগুন লাগানো হয়েছে।  

ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল মালেকের ছেলে এহাসান উল্লাহ্ জিহাদী বলেন, আমি শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে এসে বাবা- মাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সকালে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাবো। তাই শহর থেকে আসা হয়েছিল। বাকি পরিবারের সদস্যরা বিষয়ে অনুষ্ঠানে ছিলেন। ঘরে আমি আর বাবা-মা তিন জন ছিলাম। রাতে ঘুমিয়ে পড়লে আমার গায়ে গরম লাগলে ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখতে পাই ঘরে আগুন লেগেছেন। এসময় দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে এসে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের মানুষ ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবেশী আবদুর রশিদ, আবদুল মামুন সহ তাদের পরিবারের সদস্যরা গ্রামের ঘর খালী করে হাটহাজারী এলাকায় ভাড়া বাসায় চলে যায়। তাদের ঘর থেকে সব মালামাল নিয়ে যায়। ঘর খালী করে শত্রুতার জের ধরে আগুন লাগিয়ে দেয় আবদুল রশিদ ও আবদুল মামুনসহ পরিবেরর সদস্যরা। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ১০লাখ টাকা। 
এ ব্যাপারে আবদুল রশিদ বলেন, আমরা হাটহাজারীর কামাল পাড়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করছি। আমাদের খালী ঘর সহ প্রতিবেশীদের ঘরে কারা আগুন লাগিয়েছে তা আমি জানিনা। দুস্কৃতকারীদের দেওয়া আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত এহাসান উল্লাহ্  জাহেদী ও মোঃ ইমন এঘটনার ব্যাপারে রাউজান থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন থানার ওসি জাহিদ হোসেন। 

এ বিষয়ে রাউজান থানার ওসি জাহিদ হোসেন বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্তের স্বার্থে  অভিযুক্ত আব্দুর রশিদের ফোন জব্দ করা হয়েছে। তদন্ত করে অগ্নিকান্ডের আসল  রহস্য উদঘাটন করে আইনগতঃ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।