ন্যাভিগেশন মেনু

রাজশাহীতে ৮৪ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের করোনা জয়


রাজশাহীর মোহনপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ৮৪ বছর বয়সী মনসুর রহমান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ম মেনে শেষ পর্যন্ত করোনার সঙ্গে যুদ্ধে জয়ী হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন।

রবিবার (৩১ মে) মনসুর রহমানের দেহে চতুর্থবারের মত করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা শেষে তাকে করোনামুক্ত ঘোষণা করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক।

এই বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মনসুর রহমান বলেন, ‘করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকে বাড়িতে এক ঘরে আইসোলেশনে থাকতে হয়েছে। কিন্তু পরিবার ও চিকিৎসকদের সব সময় কাছে পেয়েছেন। এই দূসময়ে চিকিৎসকদের গাইড লাইন মেনে চলার কারণে শারীরের এই উন্নতি ঘটেছে। যার ফলে তার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় আর সেই কারণেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।’

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মনসুর রহমান আরও বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হবার পর থেকেই পরম বন্ধু ও নিকট আত্মীয়ের মত পাশে ছিলেন মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। যাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন তিনি। ’

বর্তমানে দেশে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সবার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বয়সকে হার মানিয়ে আমি যদি প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হতে পারি, তাহলে আমার বিশ্বাস চিকিৎসকদের নির্দেশনা মেনে এবং আত্মবিশ্বাস রাখলেই করোনা থেকে সবাই মুক্ত হতে পারবেন। ’

মনসুর রহমানের একমাত্র ছেলে কলেজ শিক্ষক আল-আমিন জালাল বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে ভয় না করে কাছে রেখে সাহস দিলে সে খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যান। আমার বাবাও হয়েছেন। ’

এই বিষয়ে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আরিফুল কবীর বলেন, ‘ভুল না করলে; মনসুর রহমানই দেশের সবচেয়ে বয়স্ক করোনায় আক্রান্ত রোগী যিনি সুস্থ হয়েছেন। তার সুস্থ্যতা করোনায় আক্রান্ত রোগীদের আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে, ৮৪ বছর বয়সের করোনা জয় সবার জন্য নজির সৃষ্টি করেছে। ’

গত ২৬ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষা করার পর তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

করোনায় সুস্থ হওয়া মনসুর রহমানের বাড়ি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ  ইউনিয়নের নওনগর গ্রামে। তার এক ছেলে ও চার মেয়ে। অবসরে যাওয়ার পরে কলেজ শিক্ষক ছেলের সঙ্গে তিনি গ্রামেই থাকেন।

ওয়াই এ/ এডিবি