ন্যাভিগেশন মেনু

স্ত্রী’র নিষেধ তুড়ি মেরে লটারির টিকিট কিনে কোটিপতি উত্তম


অল্প আয়ের সংসার। অর্থাৎ নুন আনতে পান্তা ফুরনো সংসার। অল্প উপার্জনে কোনওক্রমে দিনযাপন। সেই টাকা বাঁচিয়ে প্রায় প্রতিদিনই লটারির টিকিট কাটতেন হুগলির আরামবাগের মনসাতলার বাসিন্দা উত্তম মাইতি।

এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিত্য অশান্তি হত। তবে মনোবল অটুট রেখে দাম্পত্য অশান্তিকে বিশেষ আমল না দিয়ে লটারির টিকিট কেটেই মিলল অর্থ। পেশায় রাজমিস্ত্রি উত্তমবাবুই এখন কোটি টাকার মালিক।

দুই ছেলে এবং স্ত্রীকে নিয়ে সংসার উত্তম মাইতির। ছেলে দু’জন পড়াশোনা করেছেন। তবে তেমন ভাল চাকরি পাননি কেউই। তাই পঞ্চাশোর্ধ্ব উত্তমবাবু রাজমিস্ত্রির কাজ করেই আয় করেন। সে টাকায় সংসার চালাতে সত্যিই সমস্যা হয় তাঁর। আয় বাড়াতে একটি গুমটি দোকানও খোলেন।

তাতেও সংসারের খরচ চালানো যেন দায়। অন্যান্য দিনের অভ্যাসবশত গত বৃহস্পতিবার ১৩০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কেটেছিলেন তিনি। সন্ধেয় টিকিটটি মেলান। ভেবেছিলেন অন্যান্যবারের মতো এবারও পুরস্কার পাবেন না তিনি।

তবে মুহূর্তের মধ্যেই ভাঙল ভুল। পুরস্কার জয়ীদের তালিকায় টিকিটের নম্বর দেখেই চমকে যান। দেখেন কোটি টাকার প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। পুরস্কারের জয়ের কথা প্রথমে জানতে পেরে যেন মাথা ঘুরে যায় উত্তমবাবু ‘র।

শান্তভাবে বাড়ি ফেরেন  উত্তম মাইতি। তবে ততক্ষণে গোটা এলাকায় তাঁর কোটিপতি হওয়ার কথা জানাজানি হয়ে যায়। তাঁর স্ত্রী এবং দুই ছেলের কানেও যায় সে খবর। খুশি হন প্রত্যেকেই। কীভাবে এই বিপুল পরিমাণ টাকা কাজে লাগাবেন উত্তমবাবু?

তিনি জানান, “আপাতত কিছুই বুঝতে পারছি না। এখনও বিশ্বাস করতে পারছিনা হতদরিদ্র অবস্থা থেকে আমি কোটিপতি হয়ে গিয়েছি। এত টাতা জিতে খানিকটা নিরাপত্তাহীনও লাগছে।” তবে উত্তমবাবুর স্ত্রী জানান, খুব কষ্ট করে দুই ছেলেকে পড়াশোনা শিখিয়েছি।

তারা ভাল কোনও চাকরি পাননি। এবার ওদের জন্য কিছু করার কথাই ভাবছি।” বাবার লটারি জয়ের ফলে এবার সুদিন ফিরবে বলেই আশা উত্তমবাবুর দুই ছেলেরও।

এস এস