ন্যাভিগেশন মেনু

৩ তালাক মামলায় স্বামীই অভিযুক্ত, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট


তিন তালাক মামলায় স্বামীই অভিযুক্ত হবেন। স্বামী ব্যতীত শ্বশুরবাড়ির কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে তিন তালাকের অভিযোগ আনা যাবে না।

এক মামলার রায় ঘোষণার সময় এই কথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে, তিন তালাক মামলায় অভিযুক্তর অগ্রিম জামিন মঞ্জুরেও কোনও বাধা নেই।

ভারতে মুসলিম মহিলাদের তিন তালাক দেওয়া এখন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। গত দু’বছর ধরে এই অপরাধের একাধিক জমা পড়ছে বিভিন্ন রাজ্যে। তেমনই গত বছর আগস্ট মাসে কেরলে একটি অভিযোগ দায়ের করেন এক মহিলা।

স্বামীর পাশাপাশি শাশুড়ির বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। অভিযোগ ছিল বধূ নির্যাতনেরও। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কেরল হাই কোর্ট অগ্রিম জামিনের আবেদনও খারিজ করে দেয়। আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পালটা মামলা করেন ওই মহিলা। শেষ অবধি জয় পেলেন তিনি।

রায়দানের সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, স্ত্রীর অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত স্বামীর তিন বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। তবে অভিযোগ দায়ের হলেই গ্রেপ্তারি বাধ্যতামূলক নয়।

অভিযোগকারীর বয়ান শোনার পর অভিযুক্তকে অগ্রিম জামিন দিতে পারে আদালত। সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিচারপতি আরও বলেন, “সিআরপিসির ৪৩৮ ধারা এবং ৭(সি) ধারা অনুযায়ী আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, এই আইনে আগাম জামিন মঞ্জুর করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই।

আদালত আরও জানিয়েছে, তিন তালাকের মামলা স্বামী একা অভিযুক্ত হতে পারেন। শাশুড়ি কিংবা অন্য কোনও আত্মীয় এই অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারে না।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে সংসদে ‘তিন তালাক’ আইন পাস করে কেন্দ্রীয় সরকার। যার ফলে মৌখিকভাবে মুসলিম মহিলাদের তালাক দেওয়া বিবাহ বিচ্ছেদের রীতিতে ইতি ঘটেছে। তিন তালাক এখন দেশে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এস এস