ন্যাভিগেশন মেনু

৬০ পেরিয়ে মেডিক্যালে ভর্তি হলেন জয় কিশোর


ইচ্ছাই অদম্য প্রাণশক্তি। অর্থাৎ কথায় আছে বয়স কখনও কিছুতে বাধা হতে পারে না। আর সেই কথাই আবারও প্রমাণ করলেন ভারতের ওড়িশা রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মচারী জয় কিশোর প্রধান। যে বয়সে সবাই অবসর জীবন উপভোগ করতে চান, সেই বয়সে এসে নতুন চ্যালেঞ্জই নিয়ে ফেললেন তিনি। তাও আবার চিকিৎসক হয়ে সাধারণ মানুষের সেবা করার।

শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। ইতোমধ্যে নিট (NEET) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৬০ বছর পার করা জয় কিশোর। শুধু তাই নয়, বীর সুরেন্দ্র সাই ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ ডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষে ভরতি পর্যন্ত হয়েছেন জয় কিশোর। যা জানতে পেরে অবাক অনেকেই। অবশ্য সমস্ত মহল থেকেই প্রশংসা এবং উৎসাহও পাচ্ছেন তিনি।

জয় কিশোর প্রধান ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার ডেপুটি ম্যানেজার ছিলেন। সেখান থেকে অবসর নেওয়ার পর হঠাৎই তাঁর অসমাপ্ত স্বপ্ন সার্থক করার কথা মাথায় আসে। শুরু করেন পড়াশোনা। এর মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয় নিট পরীক্ষার সর্বোচ্চ বয়স কত হতে পারে?‌

সেই সংক্রান্ত একটি মামলা। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। তাই এই পরীক্ষায় বসতে কোনও সর্বোচ্চ বয়স ধার্য করা হয়নি। এর ফলে নিজের অনেকদিনের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে চলতি বছরে নিট পরীক্ষায় বসেন জয় কিশোর। তারপর পাশও করলেন।

এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‌‘‌প্রথম যখন এই পরীক্ষা দিয়েছিলাম তখন আমি পাশ করতে পারিনি। তখন বয়স অল্প ছিল। কিন্তু আরও একবছর প্রস্তুতির জন্য নষ্ট হবে, এই ভেবে তারপর বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক পাশ করি। এরপর তো চাকরিতে যোগদান।

কিন্তু মনে ইচ্ছে ছিল চিকিৎসক হওয়ার। তাই অবসর নেওয়ার পর ২০১৬ সাল থেকে প্রস্তুতি নিয়ে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে চলেছি।‌ এর পাশাপাশি তিনি আরও জানান, কয়েকদিন আগেই তাঁর যমজ মেয়ের একজন মারা গিয়েছেন। তাঁরাও নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

আর তাই এখন নিজে চিকিৎসক হয়ে মেয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে চান তিনি। বেশি বয়সে চিকিৎসক হওয়ার প্রসঙ্গে বলেন, ‘‌‘‌হ্যাঁ, ৭০ বছর বয়সে গিয়ে হয়ত সরকারি হাসপাতালে চাকরি করতে পারব না। কিন্তু এই জ্ঞান নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে মানু্ষের পাশে দাঁড়াতে পারব।‌

এস এস