ন্যাভিগেশন মেনু

৮ রাজ্যের কোটি আমেরিকান অবরুদ্ধ


করোনা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটায় সারা আমেরিকায় জরুরী অবস্থা জারির পর নিউইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়া, ওয়াশিংটন, ডেলওয়ারে, কেন্টাকি, ওহাইয়ো, ইলিনয়, লুইঝিয়ানা অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

একইধরনের নির্দেশ জারির কথা বলা হয়েছে পেনসিলভেনিয়া রাজ্যের ফিলাডেলফিয়া সিটি, মিজৌরি রাজ্যের সেন্ট লুইস ও ক্যানসাস সিটি, কলরাডো রাজ্যের সেন মাইগুয়েল সিটি, জর্জিয়া রাজ্যের এথেন্স ক্লার্ক কাউন্টি, এবং আইডাহো রাজ্যের ব্লেইন কাউন্টিতে।

ঘরে থাকার নির্দেশের অর্থ কার্ফিউ জারি করা নয়। অপ্রয়োজনীয় কারণে কেউ বাসার বাইরে যেতে পারবেন না। বিশেষ জরুরী যেমন ওষধ ক্রয়, ডাক্তার/ হাসপাতালের  এপয়েন্টমেন্ট, খাদ্য-সামগ্রি ক্রয়ের জন্যে গ্রোসারি স্টোর, রান্না করার  খাবার কিনে আনতে (রেস্টুরেন্ট  রেস্টুরেন্টে বসে খাবার অনুমতি নেই), জগিং করা যাবে ।

কমপক্ষে ৬ ফুটের ব্যবধানে, পালিত কুকুর নিয়েও বাইরে যাওয়া যাবে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে, অনলাইনে কাজের সামগ্রি ক্রয় করতে বাসার বাইরে যাওয়া যাবে।

এই নির্দেশের বাইরে রয়েছেন যথারীতি, এ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, সাংবাদিক, চিকিৎসক, নার্স। তবে সকলের সাথেই যথাযথ কর্তৃপক্ষের আইডি থাকতে হবে।

এভাবেই প্রবাসীরাও স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। সকলেই করোনা পরিস্থিতির সর্বশেষ অবস্থা জানতে টিভির প্রতি দৃষ্টি রেখেছেন। কারণ, কিছুৃক্ষণ পরপরই প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, স্টেট গভর্ণর, সিটি মেয়রসহ কংগ্রেসের শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রেস ব্রিফিং দিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, রবিবার রাত ১১টা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৩৩ হাজার ৫৪৬ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৪১৯ জন। নিউইয়র্ক রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ৪৭৯৬ আক্রান্ত হয়ে মোট দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭৯০। মারা গেছেন ১১৪ জন। জোন্স হোপকিন্স ইউনিভার্সিটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এস এস