ন্যাভিগেশন মেনু

কক্সবাজারে পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিরলসভাবে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ: আপেল মাহমুদ


বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেছেন, পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমন ও বিনোদনের জন্য আমরা সার্বক্ষণিক আন্তরিক সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তাদের যাতে কোনরকম অসুবিধা না হয় সেজন্য আমাদের পুরো টিম দিনরাত চেষ্টা করে যাচ্ছে। ফলে পূর্বের যেকোন সময়ের তুলনায় কক্সবাজারের পরিবেশ অনেক শান্ত। 
পর্যটকরা নির্বিঘ্নে উপভোগ করতে পারছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। স্থানীয় বখাটে বা প্রতারক চক্র এখন আর কাউকে হয়রানি করতে পারছেনা। আমাদের টিমের আন্তরিক প্রচেষ্টায় পর্যটকেরা এখন আর সর্বশান্ত হচ্ছেনা বলে আমরা জেনেছি।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম থেকে রেলওয়ে জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের একটি পিকনিক দল পর্যটন নগরী কক্সবাজারে গেলে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনাল কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ও দৈনিক সকালের সময় চট্টগ্রামের ব্যুরো প্রধান এস এম পিন্টু, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আজকের বিজনেস বাংলাদেশ’র চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান জাহাঙ্গীর আলম, দৈনিক বাংলাদেশ টুডের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান এস এম আকাশ, আমাদের নতুন সময়’র এমআর আমিন, সংগঠনের সদস্য দৈনিক নয়া দিগন্তের ওমর ফারুক, বাংলাদেশ পোস্ট’র রাহুল সরকার পলাশ, বাংলা ট্রিবিউন’র নাছির উদ্দিন রকি, পূর্বদেশ এর এম এ হোছাইন, চট্টলা টিভির গাজী গিয়াস উদ্দিন লিটন, বাংলাদেশ সমাচারের আব্দুল মতিন চৌধুরী রিপন, এই বাংলার তানভীর আহমেদ, দৈনিক সাঙ্গুর জাহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ টুডের মাজহার রানা, ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলামসহ পুলিশের সিনিয়র অফিসার ও অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।   

এসময় তিনি বলেন, মেসেজের নামে কিছু ছেলে-মেয়ে পর্যটকদের বিরক্ত করার খবর পেয়ে আমরা তাদের তাড়িয়ে দিয়েছি। তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধিদের সাথে আমাদের কথা হয়েছে তারা এখন আর রাস্তায় হেটে বা আবাসিক হোটেলে গিয়ে পর্যটকদের বিরক্তিকর কোনকিছু করছে না। তাদের জন্য আমরা একটা নির্দিষ্ট পরিমান টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছি তাতে তারা সন্তুষ্ট। রাইড শেয়ারিংদের বলে দেয়া হয়েছে তারা অতিরিক্ত টাকা দাবি করছেনা। স্পা সেন্টারগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে তারাও গ্রাহকের সাথে আর প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেনা। 

৮ জনের গোয়েন্দার একটি টিম বিচে দিন-রাত নিরাপত্তা তদারকি এবং ২০০ টইল পুলিশ মাঠে কাজ করছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে লাঠি না থাকাতে নিরাপত্তা বিষয় থাকে। তবুও যতটুকু সম্ভব কাজে করে যাচ্ছি। স্পা নামে কোন অপরাধ করা যাবেনা। নিয়মনীতির মধ্য চলবে এসব স্পাগুলো। ১২০ টি উপরে স্পা সেন্টার আছে। ৫০০ টি উপরে খাবারের দোকান বা হোটেল রয়েছে। একইভাবে খাবার হোটেলগুলোকে বলা হয়েছে তারা যেন যথাসম্ভব খাবারের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখে। 

আর এসবের ফলে আমরা পর্যটকদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছি। ইতিমধ্যে কক্সবাজারে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। আমরা আশা করছি সকলের সমন্বিত সহযোগীতার ফলে অতীতের সকল বদনাম লাঘব করে কক্সবাজারকে একটি মডেল পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো।
 
রেলওয়ে জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম পিন্টু বলেন, আমরা দুই দিন বিভিন্ন বিনোদন স্পটে ঘুরেছি, কিন্তু কোন রকম বিরম্বনার শিকার হইনি বা কারো কাছে কোন অভিযোগও শুনতে পাইনি। ট্যুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা আমাদের মুগ্ধ করেছে। আপনাদের দায়িত্বশীল আচরণে  কক্সবাজারে পর্যটকের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আমরা মনে করি। পর্যটকদের ও পর্যটন নগরীর নিরাপত্তার স্বার্থে ট্যুরিস্ট পুলিশের চলমান আন্তরিকতা অব্যাহত থাকবে বলেও আমরা বিশ্বাস করি।