ন্যাভিগেশন মেনু

দুস্থ ও অসহায়দের যাকাত সামগ্রী বিতরণ করল কেডিএস গ্রুপ

অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারলেই হবে ঈদের মুল সার্থকতা: খলিলুর রহমান


চট্টগ্রামের পটিয়ায় ২৫ হাজার দূস্থ ও অসহায়দের মাঝে যাকাতের শাড়ি, লুঙ্গি ও নগদ টাকা বিতরণ করলেন দেশের অন্যতম শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান কেডিএস গ্রুপ।

কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খলিলুর রহমান ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

রবিবার (৭ এপ্রিল) সকালে নিজ গ্রামের চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে খলিল মীর ডিগ্রী কলেজ মাঠে ২৫ হাজার দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে যাকাতের শাড়ি, লুঙ্গি ও নগদ টাকা বিতরণ করেন দেশের খ্যাতিমান শিল্প গ্রুপ কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আলহাজ্ব খলিলুর রহমান।

তিনি উপজেলার সাঁইদার, বুধপুরা, জিরি, হরিণখাইন, কাশিয়াইশ, আশিয়া, গোরনখাইন, মহিরা, ভান্ডারগাঁও, বেলখাইন, বরলিয়া, কুসুমপুরা, বিনিনিহারা, কৈয়গ্রাম, মালিয়ারা, মহিরা, কর্তলা, পিঙ্গলা, পুরিক্তা, উত্তর দেয়াং, চাপড়ীসহ প্রায় ২৫ গ্রামের গরীব মানুষকে এ ঈদ৷ সামগ্রী এবং নগদ অর্থ পায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক আহমেদুল হক, কেডিএস গ্রুপের ব‍্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম রহমান, ৭ নং জিরি ইউনিয়নের মেম্বার মোঃ হাশেম চৌধুরী, ৬ নং কুসুমপুরা ইউনিয়নের মেম্বার শওকত আকবর সহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

খলিলুর রহমান বলেন, ইসলাম সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের ধর্ম। ভালোবাসা ও সৌহার্দ্যরে সেতুবন্ধ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এ ধর্ম। এ ধর্ম মানুষকে পরোপকারী, অন্যের ব্যাথায় সমব্যাথী, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রতি সহানুভূতিশীল ও সহমর্মী হতে সাহায্য করে। ধনী-গরিবের দূরত্বকে কমানোর জন্য এবং বিত্তশালীদের মালের পবিত্রতার জন্য এ ইসলাম নিয়ে এসেছে যাকাতের বিধান।

তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর মুসলমানের জন্য একটি আনন্দের দিন। এদিনে ধনী-গরীব সবাই মিলে একসাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়। ঈদের এ আনন্দ সকলে ভাগ করে নিতে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারলেই হবে ঈদের মূল সার্থকতা। কোন দরিদ্র যাতে ঈদের খুশি থেকে বঞ্চিত না হয়। সে দিকে বিত্তবানদের সচেতন থেকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে।

উল্লেখ্য, প্রায় ৫১ বছর আগে চাকরি দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন খলিলুর রহমান। নিষ্ঠা, শ্রম ও আন্তরিকতা দিয়ে গড়ে তুলেছেন অসংখ্য শিল্প প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজারের বেশি।