ন্যাভিগেশন মেনু

আতঙ্কে দেশ ছাড়লেন জনপ্রিয় আফগান পপ তারকা আরিয়ানা


আফগানিস্তান তালেবানদের দখলে যাওয়ার পর থেকেই আশঙ্কায় ভুগছেন বিভিন্ন পেশাজীবী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে এই আতঙ্ক আরও বেশি দেখা দিয়েছে। তাদের ভয় ২০ বছর আগের পরাধীনতা আবারও গ্রাস করতে পারে। মহিলাদের পরতে হবে হিজাব, বোরখা। এসব পরতে রাজি নন আফগানিস্তানের জনপ্রিয় পপ তারকা আরিয়ানা সাঈদ। প্রাণ বাঁচিয়ে কোনোক্রমে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি আমেরিকার উদ্ধারকারী বিমানে বসে থাকার ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন এইপপ তারকা।

তিনি জানিয়েছেন, আমি ভালো আছি এবং বেঁচে আছি। দু’টি নির্ঘুম রাতের পর আমি কাতারের দোহায় পৌঁছেছি। আপাতত অপেক্ষা পরের ফ্লাইটে ইস্তানবুলের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার ।

বাড়ি পৌঁছে গত কয়েক দিনের ধাক্কা সামলানোর পরে ফের সকলের জন্য নতুন নতুন পোস্ট উপহার দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আরিয়ানা ওই পোস্টে।

দীর্ঘ ২০ বছর ধরে যে সব মহিলারা স্বাধীনতার দাবিতে সরব হয়েছিলেন, তাদের পথ দেখিয়েছিলেন এই খোলামেলা পোশাক পরা জনপ্রিয় তারকা। আরিয়ানা দেশের দু’টি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে কাজ করেছেন। 

একটি গানের অনুষ্ঠানে বিচারক হয়েছেন। আরিয়ানার জন্ম আফগানিস্তানের কাবুলে হলেও জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে সুইজারল্যান্ড এবং লন্ডনে। ফলে পশ্চিমা ভাবধারায় বেড়ে উঠেছেন। তার রক্তে মিশে রয়েছে তাজিক গোষ্ঠীর লড়াকু স্পর্ধা। আরিয়ানার মা ছিলেন তাজিক জনগোষ্ঠীর। দশকের পর দশক ধরে এই তাজিকরাই তালেবানদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এসেছে।

আরিয়ানার বয়স যখন আট বছর, তখন মা-বাবার হাত ধরে পাকিস্তানের পেশোয়ারে চলে এসেছিলেন। সেখান থেকে সুইজারল্যান্ড। সঙ্গীতের প্রতি তার ঝোঁক ছিল বরাবরই। ১২ বছর বয়সেই একটি মিউজিক স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। 

২০১১ সাল থেকে আফগানিস্তানে তার গানের জনপ্রিয়তা দেখে ফিরে এসেছিলেন নিজের জন্মভূমিতে। তালেবানদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলায় ‘ব্রেভারি অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন আরিয়ানা।

ওআ/