আফগানিস্তানের সামরিক বাহিনীর দ্রুত পতনের জন্য দেশটির নেতৃত্বকে দায়ী করেছেন ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর জোটের সামরিক প্রশিক্ষণ পরিচালনা কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
ভয়েস অব আমেরিকা জানায় মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, তালেবানদের আক্রমণের সময় আফগান সৈন্যরা যে গতিতে দুর্বল হয়ে পড়েছিল তা বিস্ময়কর ছিল।
তিনি এটা স্বীকার করেন যে, ন্যাটোর এ থেকে অনেককিছু শেখার আছে।
এদিকে তালেবানদের বিজয়ের প্রতিক্রিয়ায়, রাশিয়া বলছে, তারা এখনই নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেবে না। রাশিয়া ২০০৩ সালে তালেবানকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে ঘোষণা করেছিল।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, মস্কো তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করছে না। তিনি আফগানিস্তানের সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় সংলাপের আহ্বান জানান।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলেন, আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবান নেওয়ার পর থেকে তুরস্ক তালেবান এবং আফগানিস্তানের অন্যান্য দলের সাথে আলোচনা করছে এবং তালেবানের বার্তার প্রতি তাদের অনুকূল দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।
চিন তালেবানকে মধ্যপন্থী ও ধীর ধর্মীয় নীতি অনুসরণ করতে এবং দেশের সব পক্ষকে যুক্ত করে একটি উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য উৎসাহিত করছে।
টেলিভিশনে প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার সমালোচনা করেন।
সোমবার (১৫ আগস্ট) হোয়াইট হাউসে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, টেলিভিশনে আফগান নাগরিকদের বিশৃঙ্খলার মধ্যে আটকেপড়ার দৃশ্য খুবই বেদনাদায়ক।
তিনি স্বীকার করেন, তালেবানরা তার প্রশাসনের ধারণার চেয়ে অনেক দ্রুত দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
সিবি/এডিবি/
